ফাইল চিত্র।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের ‘ইজ় অব ডুয়িং বিজ়নেস’ তালিকায় এ বার ঢুকে পড়ল কলকাতা। দিল্লি এবং মুম্বই পুরসভা আগেই ওই তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ বার কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু সেই সম্মান পাচ্ছে। কী করতে হবে তার জন্য? কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসার লাইসেন্স, মিউটেশন-সহ বিভিন্ন ধরনের অনুমোদন আবেদনের ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। মেট্রোপলিটন সিটির বাসিন্দাদের অযথা হয়রান করা চলবে না। এ সবই হচ্ছে ‘ইজ় অব ডুয়িং বিজ়নেস’-এর শর্ত। সেই শর্ত পূরণের পরিকাঠামো থাকলে তবেই ওই সম্মান মেলে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘ইজ় অব ডুয়িং বিজ়নেস’ তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার পরে এ বার বিশ্ব ব্যাঙ্কের ওই শর্ত মেনে চলতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। সেই লক্ষ্যেই সোমবার এক জরুরি বৈঠক ডাকেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। বৈঠক হওয়ার কথা ছিল পুর ভবনে। পরে তা মহাকরণের রোটান্ডায় করা হয়।
বৈঠকে পুরসভার কাজের সঙ্গে যুক্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রের একাধিক দফতরের কর্তাদেরও ডাকা হয়। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, শহরের বহু বাসিন্দাই সময়ে মিউটেশন না হওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন। অনেকে বাড়ির নকশা অনুমোদন ঘিরে টালবাহানার কথাও তোলেন। নানা অছিলায় ব্যবসার লাইসেন্স (সার্টিফিকেট অব এস্টাব্লিশমেন্ট) আটকে রাখার অভিযোগও শুনতে হয়। সে সবের উল্লেখ করে মেয়র বৈঠকে জানান, কাজ আটকে রাখা যাবে না। ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নির্মাণের নকশা, লাইসেন্স ও মিউটেশন করে দিতে হবে। এর জন্য কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের যে সব দফতরের অনুমোদন লাগে, তাদের থেকে সেই কাজও দ্রুত করিয়ে নিতে হবে। বাড়ির নকশা
অনুমোদনের প্রসঙ্গ তুলে বৈঠকে বলা হয়, অনেক সময়ে উঁচু বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের অনুমোদন লাগে। কোথাও আবার বিএসএনএল বা ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের অনুমোদনও লাগে। বৈঠকে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানানো হয়। তাঁরাও জানান, আবেদন পাঠানো হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।