Land Enchroachment

পুরসভার পরে পূর্ত দফতর, জমির জবরদখল ঠেকাতে পদক্ষেপ

দফতর সূত্রের খবর, রাস্তা, সেতু, ভবন-সহ পরিকাঠামো তৈরির জন্য পূর্ত দফতর রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই জমি কিনেছে বা অধিগ্রহণ করেছে। সেগুলি ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য ব্যবহার করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৪
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

খালি জমি পড়ে থাকলেই তা দখল হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে। এই প্রবণতা আটকাতে একাধিক পুরসভা, সরকারি দফতর নিজেদের ফাঁকা জমিতে বোর্ড লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট বোর্ডে জমিটি কোন দফতর বা পুরসভার অধীনে, তা লেখা থাকছে। বেশ কিছু দিন ধরেই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। এমনকি, দখলদারদের সরাতে পুরসভার তরফে কড়া পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বার সেই একই পথে হেঁটে রাজ্য পূর্ত দফতরও নিজেদের ফাঁকা জমিতে বোর্ড লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট জমিটি যে পূর্ত দফতরের অধীনে, সেই বার্তা দেওয়া থাকবে।

Advertisement

রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় জানাচ্ছেন, জবরদখলের পাশাপাশি দফতরের জমি নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করার জন্য এই কাজ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, পূর্ত দফতরের জমি ঠিক মতো রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য। সেই মতোই এই কাজ করা হচ্ছে।’’

দফতর সূত্রের খবর, রাস্তা, সেতু, ভবন-সহ পরিকাঠামো তৈরির জন্য পূর্ত দফতর রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই জমি কিনেছে বা অধিগ্রহণ করেছে। সেগুলি ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য ব্যবহার করা হবে। তত দিন সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি, অন্য সরকারি দফতরকে জানানোর জন্য জমির চার দিক চিহ্নিত করে তার মাঝখানে ‘এই জমি পূর্ত বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আওতাধীন’ লেখা বোর্ড টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্ত জ়োনের অধীনস্থ মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারকে এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এমনিতেই জবরদখলের বিষয়টি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। এমনটাই জানাচ্ছেন আধিকারিকদের একাংশ। সে কারণে কলকাতা পুরসভা নিজেদের ফাঁকা জমিতে বোর্ড লাগানোর পাশাপাশি, জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই অনুযায়ী পুরসভার ফাঁকা জমিতে মাসে দু’বার করে অভিযানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুর সার্ভে দফতরকে। বরো ইঞ্জিনিয়ারিং বা পরিস্থিতি অনুযায়ী অন্য দফতরের সঙ্গে ওই অভিযান চালানো শুরু করেছে সার্ভে দফতর। জমির বর্তমান অবস্থা অভিযানের সময়ে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।

পুরসভার কোনও ফাঁকা জমিতে জবরদখলকারী থাকলে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় থানাকে জানানো হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। তার পরে থানার সাহায্য নিয়ে ওই জমি থেকে দখলকারীদের উৎখাত করা হবে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘অভিযানের জন্য পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরকে লোকবল, গাড়ি-সহ সব তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement