দূষণ রুখতে টালি নালায় নোংরা জল ফেলা বন্ধ করতে চায় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু সেই নোংরা জল শোধনের কেন্দ্র কোথায় হবে, তা নিয়ে ফাঁপরে পুরকর্তারা। পুরসভার এক সূত্রের খবর, টালি নালার আশপাশে বেশি জমি মেলেনি। বেশ কিছু জমির মালিকানা নিয়েও সমস্যা রয়েছে। ফলে মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবব্রত মজুমদারের নেতৃত্বে পরিদর্শন হলেও এ নিয়ে চূ়ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জমির সমস্যার কথা মেনে নিয়ে দেবব্রতবাবু বলেন, ‘‘নিকাশির আবর্জনা টালি নালায় ফেলা বন্ধ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। নির্দেশও রয়েছে। কিন্তু কোথায় শোধন কেন্দ্র হবে, তাতে সমস্যা রয়েছে।’’ পুরসভার এক সূত্রের দাবি, কয়েকটি জমি চিহ্নিত হলেও তাতে কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে সন্দিহান কর্তাদের একাংশ।
আদিগঙ্গা ও টালি নালার দূষণ নিয়ে পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, অপরিশোধিত নিকাশি ফেলায় জল দূষণের চরমে পৌঁছেছে। তার প্রভাব পড়ছে স্থানীয়দের উপরেও। দূষণ রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। পুরসভা সূত্রের খবর, এ নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকাও রয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, টালি নালার ধারে নিকাশি শোধন কেন্দ্র তৈরির জন্য একটি ফরাসি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করানো হয়। তারা বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছে। কোথায় কেন্দ্র হতে পারে, রিপোর্টে তা রয়েছে। এর পরেই হয়েছে সমস্যা। পুরসভার এক কর্তা জানান, সম্প্রতি ওই সংস্থার চিহ্নিত করা জমিগুলিই পরিদর্শন করেন তাঁরা। তাতে দেখা যায়, অনেক জমি ছোট। আশপাশে বাড়ি আছে। কয়েকটি জমির মালিকানার সমস্যা রয়েছে। ওই পুরকর্তারা বলেন, ‘‘সমস্যা না মিটলে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে না।’’
তা হলে কি টালি নালার দূষণমুক্তি বিশ বাঁও জলে? দেবব্রতবাবু জানান, কী ধরনের জমি মিলবে, তার উপরে প্রকল্প নির্ভর করছে। বড় জমি একান্তই পাওয়া না গেলে ছোট জমিতে ছোট মাপের শোধন কেন্দ্র গড়া হবে। সে ক্ষেত্রে শোধন কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে।