নস্টালজিয়া: বাসের সঙ্গে পথে ভিন্টেজ গাড়িও। রবিবার, ইএম বাইপাসে। নিজস্ব চিত্র
এ বারের ভিন্টেজ গাড়ির র্যালির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল গাড়িটি। অথচ যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে শেষ পর্যন্ত র্যালিতে অংশ নেওয়াই হল না কবি নজরুল ইসলামের ব্যবহার করা, ১৯৩২ সালের বেবি অস্টিন টুরারের।
অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া এবং ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে রবিবার সকালে শহরের রাস্তায় হয়ে গেল ভিন্টেজ গাড়ির র্যালি। ইএম বাইপাসের ধারে একটি ক্লাবের সামনে থেকে থেকে শুরু হয়ে অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার অফিস হয়ে ফের গাড়িগুলি ফিরে আসে আগের জায়গায়। এ বছরের এই র্যালিতে অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ, সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত গাড়ি-সহ মোট ৫০টি পুরনো দিনের গাড়ি অংশগ্রহণ করেছে। ১৯০৩ সালের একটি গাড়িও ছিল সেই তালিকায়। ১৯৬৪ সালের একটি গাড়ি এ বারের র্যালিতে অংশগ্রহণকারী গাড়িগুলির মধ্যে সবচেয়ে নতুন মডেলের। তবে বাদ পড়ে গিয়েছে নজরুলের ব্যবহৃত গাড়িটি।
অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি প্রবীর রায় বলেন, ‘‘র্যালিতে অংশ নেওয়ার আগে শনিবার গাড়িগুলি পরীক্ষা করা হয়। তখনই দেখা যায় যে, নজরুলের গাড়িটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ফলে সেটি বাতিল করা হয়।’’ তবে প্রবীরবাবু জানিয়েছেন, শুধু নজরুলের ওই গাড়িটিই নয়। দূষণের আশঙ্কায় বাতিল করা হয়েছে আরও ১০টি পুরনো দিনের গাড়ি। র্যালিতে নামার আগে পরীক্ষা করে সবকিছু ঠিক থাকলে তবেই কোনও ভিন্টেজ গাড়ি এ দিন রাস্তায় নামার অনুমতি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: টার্মিনালের বাইরে দালাল-রাজ নিয়ে চিঠি পুলিশকে
বর্তমান প্রজন্মের কাছে পুরনো দিনের গাড়িগুলি চেনাতেই প্রতি বছর এই র্যালির আয়োজন করা হয়। তবে র্যালিতে অংশগ্রহণকারী কয়েক জন গাড়িমালিক জানাচ্ছেন, পুরনো দিনের এই গাড়িগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ। ফলে ভিন্টেজ গাড়ি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। ১৯৬০ সালে কেনা জিপ নিয়ে এ দিন র্যালিতে নেমেছিলেন হাওড়ার শুভেন্দু কর। বলছেন, ‘‘এই জিপটি আমার খুব প্রিয়। সেনাবাহিনী এই ধরনের জিপ ব্যবহার করে। এই জিপ নিয়ে রাস্তায় নামতে পেরে আনন্দ হচ্ছে।’’ ১৯৪৮ সালের গাড়ি মরিস মাইনর নিয়ে র্যালিতে আসা রবি দুগ্গল বলেন, ‘‘পুরনো এই গাড়ি চালু রাখতে খরচ ভালই। তবু প্রাণের চেয়েও প্রিয় গাড়িটি কখনও বিক্রি করার কথা ভাবতেই পারি না।’’
আরও পড়ুন: চালকের মৃত্যুতে বন্ধ নয় অটো, দিনের আয় দিয়ে পাশে সহকর্মীরা