ফাইল চিত্র।
পয়লা অক্টোবর থেকে কালীঘাট মন্দিরে ফুল-মালা-প্রসাদ সহযোগে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিল কালী টেম্পল কমিটি। মন্দিরে বিগ্রহ দর্শনের সময়ও বাড়ানো হচ্ছে। এ বার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। করোনার সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই পরীক্ষামূলক ভাবে ১ অক্টোবর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে বলে জানালেন কালী টেম্পল কমিটির কোষাধ্যক্ষ কল্যাণ হালদার। তিনি বলেন, ‘‘জেলা বিচারকের অনুমতি নিয়ে খুব শীঘ্রই গর্ভগৃহে দর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।’’ সোমবার সেবায়েত কাউন্সিল ও কমিটির সদস্যেরা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে বলেই মন্দির খোলা রাখার সময় বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি কমিটির। এক সদস্যের কথায়, ‘‘আগে সকালে চার ঘণ্টা ও বিকেলে তিন ঘণ্টা মন্দির খোলা রাখা হচ্ছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, মন্দির তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা দর্শন না করেই ফিরে গিয়েছেন। ওই দর্শনার্থীরাই দর্শনের সময় বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনকে মান্যতা দেওয়া হল।’’
কালীঘাট মন্দিরের সেবায়েত কাউন্সিলের সম্পাদক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ফুল-মালা ও প্রসাদ নিয়ে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব কিছুই জীবাণুমুক্ত করার পরে মন্দিরে ঢোকাতে দেওয়া হবে।’’
কালী টেম্পল কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের প্রতিটি গেটেই স্যানিটাইজ়েশন টানেল রয়েছে। তা ছাড়া, মন্দির কমিটির তরফে কর্মী নিয়োগ করে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। এ বার পয়লা অক্টোবর থেকে ফুল-মালা ও প্রসাদের শালপাতাও জীবাণুমুক্ত করার পরেই মন্দিরে ঢোকাতে দেওয়া হবে। আপাতত মূল মন্দিরের ভিতরে স্যানিটাইজ়ারের একাধিক যন্ত্র বসানো হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ কল্যাণবাবু বললেন, ‘‘পয়লা অক্টোবর থেকে সমস্ত পরিস্থিতি ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই নতুন ব্যবস্থাই চালু থাকবে।’’
গর্ভগৃহে দর্শনের বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই জেলা বিচারকের কাছে আবেদন করা হবে বলে মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কালীঘাট মন্দিরের পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থা আলিপুরের জেলা বিচারকের অধীনে রয়েছে।