—প্রতীকী ছবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে গঠিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কর্মসমিতিতে (ইসি) পেশ করে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এমনই দাবি জানাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে জুটার পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ট্রেজারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বেতন দেওয়ার যে উদ্যোগ রাজ্য সরকার নিয়েছে, সেই বিষয়ে যাদবপুরের কী বক্তব্য হবে, তা নিয়ে কর্মসমিতিতে আলোচনার দাবিও জানানো হয়েছে।
ছাত্রমৃত্যুতে তৈরি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির তদন্তের এক্তিয়ার আদৌ ছিল কি না, এই নিয়েই সম্প্রতি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বুদ্ধদেব সম্প্রতি জানিয়েছেন, ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী র্যাগিংয়ের তদন্তের এক্তিয়ার রয়েছে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের। স্কোয়াডকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছিল, ওই রিপোর্ট কর্মসমিতির আসন্ন বৈঠকে পেশ করা হবে না।
ইতিমধ্যেই এই কমিটির তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পিছনে ছিল র্যাগিংয়ের ঘটনা। ঘটনায় জড়িতদের আজীবন বহিষ্কার-সহ অন্যান্য শাস্তিরও সুপারিশ কমিটি করেছে। এর প্রেক্ষিতেই জুটা সেই রিপোর্ট ২৬ সেপ্টেম্বর কর্মসমিতির বৈঠকে পেশের দাবি জানিয়েছে। বুদ্ধদেবকে লেখা চিঠিতে জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্য, মৃত্যুর মতো দুঃখজনক ঘটনায় দোষীরা শাস্তি না পেলে তারা আরও উৎসাহিত হবে এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন থাকবে। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ক্যাম্পাসের নিউ ব্লক হস্টেলে ইউজিসির নিয়ম মেনে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের রাখা হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ‘ইন্ডাকশন প্রোগ্রাম’ অনলাইনে করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম দিকেই ক্লাস চালু করা হবে। এর মধ্যে এই পড়ুয়াদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকেকরতেই হবে।