উল্লাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে গত বার তিন বিভাগে যেখানে যে-দল জিতেছিল, এ বারেও জয়ী তারাই। অর্থাৎ স্থিতাবস্থাই বজায় থাকল। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভোটের ব্যবধান অনেক হলেও দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) বিশেষ ছাপ ফেলতে পারল না।
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এই নিয়ে টানা ৪৪ বার ছাত্র সংসদ দখল করল ডিএসএফ। ওখানে এসএফআই-কে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে এবিভিপি। এ বারেই প্রথম যাদবপুরের ছাত্রভোটে প্রার্থী দিয়েছিল এবিভিপি। সেখানে চেয়ারপার্সন-পদে ডিএসএফের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৩০৪টি ভোট। ৫০৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবিভিপি প্রার্থী। ওই পদে এসএফআই পেয়েছে ২৮৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদকের পদে ডিএসএফ পেয়েছে ৩৩২০টি ভোট। এবিভিপি ৫২৩টি। এসএফআই ২৬৫টি। সহকারী সাধারণ সম্পাদক (সান্ধ্য) পদে অবশ্য এবিভিপি-র থেকে এগিয়ে এসএফআই। ওই পদে এবিভিপি পেয়েছে মাত্র ১৩টি ভোট।
বিজ্ঞান বিভাগে এ বারেও জিতেছে ‘উই দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’। ওখানে দ্বিতীয় এসএফআই। এবিভিপি ওই বিভাগে কোনও প্রার্থীই দেয়নি।
কলা বিভাগে আবার ছাত্র সংসদ দখল করেছে এসএফআই। ওখানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নির্বাচনের আগে ফ্যাস এবং অন্যদের নিয়ে তৈরি জোট ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স। তার পরে রয়েছে টিএমসিপি, এবিভিপি এবং অন্যেরা। কলা বিভাগের বিদায়ী ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, ‘‘এবিভিপি বা টিএমসিপি নয়, এই বিভাগের পড়ুয়ারা আবার আস্থা রাখল এসএফআইয়ের উপরেই।’’
উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ভোটে শান্তি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ অটুট রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। এ দিন ভোট পর্বের শেষে তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’