মেরামতির কাজের জন্য এ বার বন্ধ থাকবে জীবনানন্দ সেতু। —ফাইল চিত্র।
গত বছরের অগস্টে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টরের জীবানানন্দ সেতুর। তার এক বছরের মাথায় এ বার ওই সেতুর মেরামতির কাজ করা হবে। এর জন্য সেখান দিয়ে তিন দিন যান চলাচল বন্ধ থাকতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
কেএমডিএ-র তরফে আগামী সপ্তাহে সেতু মেরামতির কাজ করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে লালবাজার। তবে কাজের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত, টালিগঞ্জ এবং লেক গার্ডেন্সের সঙ্গে ইএম বাইপাসের মূল সংযোগকারী রাস্তা এই জীবনানন্দ সেতু। যাদবপুর থেকে দ্রুত বাইপাসে পৌঁছনোর জন্যও এই সেতু ব্যবহার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, সেতু বন্ধ হলে টালিগঞ্জ বা প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড দিয়ে বাইপাসের দিকে যাওয়া বাস এবং বড় গাড়িকে যাদবপুর থানা থেকে ঢাকুরিয়া, গড়িয়াহাট মোড় হয়ে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ দিয়ে পাঠানো হবে। সেগুলি ফিরবেও একই পথে। ছোট গাড়ি সেলিমপুর রোড কিংবা সুলেখা মোড় হয়ে সন্তোষপুর অ্যাভিনিউ ধরে অজয়নগর ইএম বাইপাসে পৌঁছবে। বিজন সেতু দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেগুলিকে জীবনানন্দ সেতুর বদলে পাটুলি বা পার্ক সার্কাস দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের।
সূত্রের খবর, জীবনানন্দ সেতুর পরে ঢাকুরিয়া সেতুর (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সেতু) স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজে হাত দেওয়া হবে। সে সময়ে সেখান দিয়েও যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বছর তিনেক আগে ওই সেতুর সংস্কারের কাজ হয়েছিল।
কেএমডিএ জানিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে যে সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে তার মধ্যে ঢাকুরিয়া সেতুর নাম রয়েছে। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তাদের অনুমতি মিললেই ওই কাজ হবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ঢাকুরিয়া সেতু বন্ধ হলে বাস-সহ বিভিন্ন গাড়িকে লেক গার্ডেন্স উড়ালপুল এবং দেশপ্রাণ শাসমল রোড ব্যবহার করতে বলা হবে।