নমুনার জন্য পুরসভার কলের জলও নেওয়া হয়।
কলকাতায় জন্ডিস আতঙ্ক! ইতিমধ্যেই যাদবপুর, বাঘাযতীন এলাকায় প্রায় ৩০ জনের বেশি জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। পুরসভার সরবরাহ করা জল থেকে না কি বোতলবন্দি জল খেয়ে জন্ডিসে আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীরা, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গাঙ্গুলিবাগান, রামগড়, বাঘাযতীন-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই ১৪টি নমুনার মধ্যে ১২টিতেই জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। ফিরহাদ বলেন, “আগামী সাত দিন যাদবপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।”
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নমুনার জন্য যে জল সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার মধ্যে যেমন বোতলবন্দি জল রয়েছে, তেমনই পুরসভার কলের জলেও নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে গত এক মাসে প্রায় ২০ জন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু যাদবপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন, বলে খবর আসছে।
আরও পড়ুন: অশান্ত কাঁচড়াপাড়া, জয় শ্রীরাম ধ্বনির মধ্যেই পুলিশি পাহারায় এলাকা ছাড়লেন জ্যোতিপ্রিয়
জন্ডিস সংক্রমণের বিষয়টি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায় গত ২৯ মে পুরসভায় জানান। অভিযোগ, প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে থাকায়, গত বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসক-দল পাঠায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর।
বাঘাযতীন সংলগ্ন বিদ্যাসাগর-কেয়াতলা এলাকায় গিয়ে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এবং জলের নমুনা সংগ্রহ করেন। ৫২টি জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই নমুনা পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষাগারে।
আরও পড়ুন: ফোনে গালিগালাজের অভিযোগ, বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে থানায় আসানসোলের মেয়র
কলকাতায় জন্ডিস প্রসঙ্গে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ভাস্কর দাস বলেন, ‘‘হেপাটাইটিস বি-এর এই হানা ঠেকাতে গেলে প্রথমেই সচেতনতার পাঠ নিতে হবে সাধারণ মানুষকে। বাইরের জল ও খাদ্যের মাধ্যমেই এই ভাইরাস শরীরে ছড়ায়। তাই রাস্তার জল এবং খাবার এড়িয়ে চলুন। একান্তই রাস্তার জল খেতে বাধ্য হলে সঙ্গে রাখুন জিওলিনের মতো জীবাণুনাশক। রাস্তার কাটা ফল, ঘোল, শরবত সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। হেপাটাইটিস আক্রান্ত অঞ্চলে বাস করলে জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খান। জল পরিশোধক ব্যবহার করলে তা প্রতি দিন পরিষ্কার করুন।’’