Jadavpur University

র‌্যাগিংয়ের সাজা নিয়ে ‘টালবাহানা’ যাদবপুরে, ‘তাড়াহুড়ো করে শাস্তি দেওয়া যায় না’: উপাচার্য

অ্যান্টি র‌্যাগিং স্কোয়াড চলতি মাসের গোড়ায় ওই রিপোর্ট নিয়ে মতামত জানিয়েছিল। পুজোর আগেই এক বার অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৩৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির বৈঠক বসলেও, গত অগস্টে মেন হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হল না। সোমবার বৈঠক শেষে যাদবপুরের অ্যান্টি র‌্যাগিং স্কোয়াডের কাছে ওই রিপোর্ট ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই ভাবে অযথা কালক্ষেপ করা হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। অনেকের শঙ্কা, দোষীদের আড়াল করে কোনও রকম শাস্তি এড়িয়ে যাওয়া হবে। তবে অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ এ দিন বলেন, ‘‘তাড়াহুড়ো করে যেনতেন ভাবে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁরা হয়তো গভীরতা বুঝতে পারছেন না।’’

Advertisement

অ্যান্টি র‌্যাগিং স্কোয়াড চলতি মাসের গোড়ায় ওই রিপোর্ট নিয়ে মতামত জানিয়েছিল। পুজোর আগেই এক বার অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এ দিন আবার কমিটি বৈঠকে বসে। সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে স্কোয়াডের কিছু ‌পর্যবেক্ষণ আছে। কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। স্কোয়াডের তরফে সেটাই পাঠানো হয়েছে। কিন্তু স্কোয়াডের রিপোর্টটি সম্পূর্ণ নয় ও যে ভাবে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তা অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির সদস্যেরা বুঝতে পারছেন না— এই যুক্তিতে সেটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। ১৫টি কাজের দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে স্কোয়াডকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তার পরে শাস্তির ব্যাপারে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, “ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সমস্ত কমিটি মেনে নিয়েছে যে র‌্যাগিং হয়েছে, কিন্তু এখনও ইউজিসি-র নিয়ম মেনে কাউকে শাস্তি না দিয়ে আসলে কর্তৃপক্ষ যারা র‌্যাগিং করেছে তাদের আশকারা দিচ্ছেন। বিভিন্ন কমিটিতে আলোচনার নামে টালবাহানা চলছে।”

Advertisement

যাদবপুরে বিজ্ঞান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব অভিজিৎ লাহিড়ী পদত্যাগ করেছেন। উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দ্বারা অপমানিত হওয়া ও তাঁর কাজে হস্তক্ষেপের কথা শোনা যাচ্ছে এ প্রসঙ্গে। তবে বুদ্ধদেব বলেন, ‘‘শুনেছি উনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। আমি কোনও হস্তক্ষেপ করিনি।’’ রাজভবনের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অন্তবর্তী উপাচার্যদের ভাতা ও অতিরিক্ত সুবিধায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে। অভিযোগ, তার পরেও বুদ্ধদেবকে কাঁথির বাড়ি থেকে আনতে উপাচার্যের নীলবাতিওয়ালা গাড়ি গিয়েছিল। বুদ্ধদেবের দাবি, ‘‘উপাচার্য হিসেবে আমার ২৪ ঘণ্টা গাড়ি পাওয়ার কথা। এক্তিয়ারের বাইরে কাজ করিনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement