Kolkata Medical College

শুরুর আগেই আইসোলেশন ওয়ার্ড বর্জ্যে ভরা

আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’-এর (এনসিওভি) মোকাবিলায় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ-কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’ এবং সিসিইউ আইসোলেশন তৈরির জন্য শনিবার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য।

Advertisement

সৌরভ দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:১০
Share:

বেহাল: এমনই দশা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের। নিজস্ব চিত্র

এমসিএইচ ভবনের ফাটলের জেরে অব্যবহৃত মেডিসিন ওয়ার্ডটি বায়ুবাহিত ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলায় আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (সিএমসি) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে যে প্রচুর কাঠখড় পোহাতে হবে রবিবার সেই ওয়ার্ডের ছবি থেকেই তা স্পষ্ট।

Advertisement

আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’-এর (এনসিওভি) মোকাবিলায় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ-কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’ এবং সিসিইউ আইসোলেশন তৈরির জন্য শনিবার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। বাকিদের কাছে সেই নির্দেশ এখনও ভাবনাচিন্তার স্তরে থাকলেও হাসপাতালের কোথায় সেই ওয়ার্ড হবে তা শনিবারই স্থির করে ফেলেন সিএমসি কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের মূল ভবনে ফাটলের জন্য রোগীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সম্প্রতি মেডিসিন ওয়ার্ডটি গ্রিন বিল্ডিংয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ দিন সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, দোতলায় ক্রনিক মেডিসিন (মেল) ওয়ার্ডটি তিনতলায় স্থানান্তর করা হবে। ক্রনিক মেডিসিন ওয়ার্ডের জায়গায় হবে আইসোলেশন ওয়ার্ড। পাশাপাশি রেসপিরেটরি আইসিইউ-তে যে পাঁচটি শয্যা রয়েছে তা আইসোলেশন সিসিইউ করার কথা ভাবা হয়েছে।

এ দিন তিনতলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, যত্রতত্র পড়ে রয়েছে মেডিক্যাল বর্জ্য। ব্যবহৃত দস্তানা, সংগৃহীত রক্তের নমুনা, স্যালাইনের চ্যানেল, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, পরিত্যক্ত ওষুধ— কী নেই সেই তালিকায়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ার্ড সংক্রমণমুক্ত নিশ্চিত হওয়ার পরেই আইসোলেশন ওয়ার্ডের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

Advertisement

যার প্রেক্ষিতে সিএমসি-র সুপার বলেন, ‘‘ভাল ভাবে পরিষ্কার করার পরেই ওয়ার্ড স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে।’’ স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি প্রসঙ্গে এসএসকেএমের সুপার রঘুনাথ মিশ্র জানান, পৃথক ওয়ার্ড তৈরির পরিকাঠামো

হাসপাতালে রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত সেই ব্যবস্থা তৈরিতে সময় লাগবে না। পাশাপাশি, তাঁর মতে, ‘‘চিকিৎসক, রোগী, স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে অযথা আতঙ্কিত না হন সে কথা মাথায় রেখে পদক্ষেপ করাটা জরুরি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement