Ira Basu

Ira Basu: খড়দহে ফিরতে চাই, লুম্বিনী থেকে স্বেচ্ছায় ফিরলেন বুদ্ধদেব-শ্যালিকা ইরা

ইরাদেবী দাবি করেন, সল্টলেকে তাঁর বাড়ির বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিন বার ডাকাতি হয়েছে। তাই তিনি ওখানে থাকেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৩৩
Share:

ফাইল চিত্র।

‘খড়দহে ফিরতে চাই’। বার বার এমনই জানাচ্ছিলেন লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালের নতুন আবাসিক ইরা বসু। তাঁর সেই কথাকে মান্যতা দিলেন পানিহাটির এক ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর এবং কিছু মানুষ। স্বেচ্ছায় তাঁদের সঙ্গে ফিরে যাওয়ার কথা লেখা কাগজে ইংরেজিতে সই করে মঙ্গলবার দুপুরে পানিহাটির পথে পা বাড়ালেন খড়দহ প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের জীবনবিজ্ঞানের প্রাক্তন শিক্ষিকা।

Advertisement

গাড়িতে মাঝের আসনে বসে পুরনো দিনের গল্প শোনালেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর সিপিএমের সুদীপ রায় (বাচ্চু)-সহ অন্যদের। ইরাদেবী দাবি করেন, সল্টলেকে তাঁর বাড়ির বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিন বার ডাকাতি হয়েছে। তাই তিনি ওখানে থাকেননি। তাঁর কথায়, “সল্টলেকে যাব কিছু দিন পরে। বিসি ব্লকে মাসির বাড়িতেও যাব।” নিজের গচ্ছিত টাকায় বাকি জীবন কাটাতে চান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরাদেবী। সরকারি সুবিধা নিতে তিনি নারাজ। বুদ্ধবাবু কিংবা মীরাদেবীর প্রসঙ্গ টেনে তাঁদের হেনস্থা করারও বিরোধী বৃদ্ধা।

এ দিন সফরসঙ্গী কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্যকে শিক্ষিকা অনুরোধ করেন, ভাড়ার বিনিময়ে বছর দুয়েকের জন্য খড়দহে ঘরের ব্যবস্থা করে দিতে। বাচ্চু জানান, কয়েক দিন তাঁর বাড়িতে থাকার পরে প্রয়োজনে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করে দেওয়া হবে। কিন্তু তাতে আপত্তি বৃদ্ধার। বদলে খড়দহের বাসিন্দা এক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে চান। তাঁর কথায়, “তিরিশ বছর ধরে ওঁকে দেখিয়েছি। উনি বললে বলরাম হাসপাতালেই ভর্তি হব। ঠিক মতো হাঁটতে পারি না। বেশ কিছু শারীরিক সমস্যাও হচ্ছে।”

Advertisement

বিকেলে পানিহাটিতে পৌঁছে ইরাদেবী গল্প জুড়লেন বাচ্চুর স্ত্রী তথা বিজ্ঞানের শিক্ষিকা, শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বরাহনগরের কুঠিঘাটের যৌথ পরিবারে কাঁঠাল গাছের কাঠ থেকে তৈরি পিঁড়েতে বসা নিয়ে ভাইবোনদের হুড়োহুড়ি, রবিবার বাগবাজার থেকে বাড়িতে মিষ্টি আসা, ঘোলের শরবতের স্মৃতি, সব উঠে এল সেই আড্ডায়। মানসিক হাসপাতালে থাকার সময়ে আশা করেছিলেন আত্মীয়েরা কেউ যাবেন। তা না হওয়ায় মনঃ ক্ষুণ্ণ তিনি। তবে দুঃখ পাচ্ছেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement