ছবি: সংগৃহীত
ইন্টারনেট পরিষেবা অচল। কখনও তিন দিন, কখনও পাঁচ দিন টানা লিঙ্ক থাকছে না। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের। দুর্ভোগ আর ভোগান্তি এখন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠছে দমদম ও উত্তর শহরতলির কিছু এলাকার পোস্ট অফিস গ্রাহকদের কাছে।
অভিযোগ, নেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শাখা অফিসগুলি (সাব পোস্ট অফিস)। ফলে দমদমের ঘুঘুডাঙা থেকে শুরু করে বারাসত নবপল্লির মতো বহু শাখা অফিসই বেহাল হয়ে রয়েছে। গত সাত দিন ধরে চলা এই বিপত্তিতে নবপল্লির মতো সাব পোস্ট অফিসে গ্রাহকেরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
তাঁদের অভিযোগ, অনেকেরই সংসার খরচ চালাতে ভরসা পোস্ট অফিসে গচ্ছিত টাকার সুদ। সেই গ্রাহকদের বেশির ভাগই অবসরপ্রাপ্ত। আবার স্বামীর মৃত্যুর পরে অনেক মহিলাই সারা জীবনের সঞ্চিত টাকা পোস্ট অফিসে রেখে নিশ্চিন্ত থাকেন। এই গোলযোগের কারণে নিজের টাকা তুলতে গিয়ে প্রতিদিনই ফিরে আসছেন তাঁরা।
ঘুঘুডাঙা পোস্ট অফিসে টাকা জমা দিতে গিয়ে তিন দিনই ফিরে এসেছেন শেঠ বাগানের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাহার মতো অনেককে। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘যখনই টাকা জমা দিতে যাই বলছে, লিঙ্ক নেই। দু’বার সব কাজ হয়ে যাওয়ার পরে শেষ মুহূর্তে লিঙ্ক চলে যাওয়ায় টাকা জমা দেওয়া আটকে যাচ্ছে। এ দিকে সময় মতো টাকা না দিতে পারায় জরিমানাও হয়ে যাচ্ছে।’’
নবপল্লি পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা গেল, গ্রাহকদের ভিড়। এক গ্রাহক জানালেন, মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা তুলতে এসে চার দিন ধরে ফিরে যাচ্ছেন তিনি। এ ছাড়াও কেউ এসেছেন ‘এমআইএস’ প্রকল্পের মাসিক টাকা তুলতে, কেউ আবার ম্যাচিওর হওয়া টাকা নিতে এসে পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বয়সের ভারে দূরবর্তী হেড পোস্ট অফিসে যেতে পারেন না বলে জানাচ্ছেন অনেকেই।
নবপল্লি পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার জানালেন, এ নিয়ে উপর মহলে অভিযোগও করা হয়েছে। ভারতীয় ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দমদম, বারাসতের নবপল্লি-সহ কয়েকটি ডাকঘরে ইন্টারনেটের সমস্যার জন্য কাজ বন্ধ ছিল। এখন স্বাভাবিক হয়েছে।’’ যদিও গ্রাহকদের অভিযোগ, কাজ চালু হলেও দিন কয়েক যেতেই ফের নেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এমনই চলছে।