প্রতীকী ছবি।
তামাক সেবনের ক্ষতিকর দিকগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বুধবার, বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবসে নানা অনুষ্ঠান হল শহর থেকে শহরতলিতে।
হাওড়া শহরকে তামাক-মুক্ত ঘোষণা করে জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী জানান, কেউ এ বার থেকে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে পারবেন না। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দার্জিলিঙের পরে হাওড়া দ্বিতীয় শহর, যা তামাক-মুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হল। জেলাশাসক জানান, হাওড়াকে তামাক-মুক্ত করতে ২০১৪ থেকে মনিটরিং স্কোয়াড কাজ করা শুরু করে। যোগ দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর, জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব বলছে, ২০১৪ থেকে ২০১৬-র মধ্যে জরিমানা বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছে। চৈতালীদেবী জানান, নিয়ম অনুযায়ী এলাকার ৮০ শতাংশ বাসিন্দা তামাক বর্জন করলে সেই এলাকাকে তামাক-মুক্ত বলা হয়। হাওড়ার ৮৮ শতাংশ বাসিন্দা তামাক বর্জন করেছেন।
এ দিনই ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সচেতনতা-কর্মসূচি হয় শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। বিমানবাবু জানান, বিধানসভা এলাকাকে তামাক-মুক্ত করার উদ্যোগী হতে হবে। অন্য দিকে, এক অভিনব উপায়ে তামাক বর্জনের প্রতিশ্রুতি আদায় করল বরাহনগর থানা। বিটি রোডে ধূমপানরত পথচারীদের অনুরোধ করে আয়োজিত সচেতনতা ক্যাম্পে নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। সেখানে তাঁদের ‘তামাক বর্জন করব’— এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সই করানো হয়। ১০০ জন পথচারীকে তামাক বর্জনের শপথ নেওয়ান পুলিশ আধিকারিকেরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (২) ধ্রুবজ্যোতি দে এবং বরাহনগর পুরসভার কাউন্সিলরেরা।