প্রতীকি ছবি।
ঝুঁকির পারাপারে রাশ টানতে চিংড়িঘাটা মোড়ে তৈরি করা হয়েছে একটি ফুট ওভারব্রিজ। এ মাসেই সেটির উদ্বোধন হওয়ার কথা। এ বার সাইকেল, রিকশা ও সাধারণ পথচারীদের সুবিধার্থে ওই এলাকার আর এক দিকে একটি আন্ডারপাস তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। খুব দ্রুত সেই কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
আন্ডারপাসের কাজের জন্য মঙ্গলবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশ, কেএমডিএ, পুরসভা, আরভিএনএল-সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, চিংড়িঘাটা মোড়ের দক্ষিণে, অর্থাৎ সুকান্তনগরের দিকে ওই আন্ডারপাসের একটি মুখ তৈরি হবে। আর একটি মুখ হবে সল্টলেকের জলবায়ু বিহারের দিকে। মূল আন্ডারপাসটি হবে সুকান্তনগর থেকে ক্যানাল সাউথ রোডের দিকে। সেখানে পুরসভার একটি অফিস রয়েছে। ওই অফিস চত্বরের একটি অংশেই তৈরি হবে আন্ডারপাসের আরও একটি মুখ। প্রায় ১৫০ মিটার লম্বা হবে প্রস্তাবিত আন্ডারপাসটি। সেখান দিয়ে রিকশা ও সাইকেল নিয়েও যাতায়াত করার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, এ দিনের পরিদর্শনে আধিকারিকেরা পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন। কোথায় কী হবে, তা-ও সরেজমিনে দেখা হয়। আরভিএনএল-ই ওই আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ করবে। সহায়তা করবে পুরসভা এবং পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার সুকান্তনগর-সহ ওই অঞ্চলের বহু মানুষ
চিংড়িঘাটা মোড় দিয়েই বাইপাসের মতো ব্যস্ত রাস্তা পারাপার করেন। অনেকে পানীয় জল নিতেও সুকান্তনগর থেকে বাইপাস পেরিয়ে বেলেঘাটায় যান। মূলত তাঁদের কথা মাথায় রেখেই ওই আন্ডারপাস তৈরি করা হচ্ছে। যাতে সাইকেল বা রিকশা নিয়ে ওই রাস্তা তাঁরা নির্বিঘ্নে পেরোতে পারেন। বর্তমানে জলবায়ু বিহার এবং চাউলপট্টি রোডকে সংযুক্ত করে বাইপাসের উপরে ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করা
পুলিশ জানিয়েছে, ফুট ওভারব্রিজ তৈরি হলেও সুকান্তনগরের বাসিন্দাদের তাতে উঠতে হলে চিংড়িঘাটা মোড়ের একটি অংশ হেঁটে পেরোতে হবে। আবার সাইকেল নিয়ে তাতে ওঠা যাবে না। তাই সব দিক বিবেচনা করেই দ্রুত ওই আন্ডারপাস তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
চিংড়িঘাটা মোড়ে পরপর দুর্ঘটনা নিয়ে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কলকাতা এবং বিধাননগর পুলিশের কর্তারা। ওই এলাকায় আর যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পুলিশকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই ওই মোড়ে পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।
এক পুলিশকর্তা জানান, কিছু দিনের মধ্যেই চিংড়িঘাটা মোড়ে বিমানবন্দর-গড়িয়া রুটের মেট্রোর স্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হবে। তার জন্য ইএম বাইপাসের একটি বড় অংশ আটকে দেওয়া হবে। তবে রাস্তা আটকানো হলেও আন্ডারপাসের কাজ আটকাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ওভারব্রিজের পরে আন্ডারপাসটি তৈরি হয়ে গেলে চিংড়িঘাটা মোড় পারাপার নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না বলেই মনে করছে পুলিশ।