অভিযোগকারিণীর তরফে শ্বশুরবা়ড়ি থেকে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বালিগঞ্জের ব্যবসায়ী পরিবারের বধূর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর পাল্টা অভিযোগ তুললেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিজনেরা। ওই বধূর অভিযোগ ছিল, স্বামীর মদতে তাঁকে ভাসুর লাগাতার ধর্ষণ করতেন। সেই ঘটনায় শ্বশুর, শাশুড়ি ও জায়ের নামও জড়িয়েছেন তিনি। পুলিশ বধূর স্বামী সুরঞ্জন সেন এবং ভাসুর নীলাঞ্জন সেনকে গ্রেফতারও করেছে।
শনিবার সেন পরিবারের আইনজীবী শেখ সেলিম রহমান জানান, অভিযোগকারিণী স্বামী-সহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। ধর্ষণের এবং বিকৃত যৌন লালসার অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ দেখাতে পারেননি ওই বধূ। ‘‘এ নিয়ে আমার মক্কেল পাল্টা অভিযোগ দায়ের করবেন,’’ বলেন সেলিম।
সেন পরিবারের আইনজীবীর অভিযোগ, ওই বধূর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার ছবি-সহ একাধিক প্রমাণ তাঁরা আদালতে পেশ করেছেন। সেলিম জানান, সুরঞ্জন স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, খোরপোশ নিয়েও কয়েক বার দু’পক্ষের কথা হয়েছিল। তারই মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে তরুণী বালিগঞ্জের শ্বশুরবা়ড়িতে যান এবং তার পরে বিকেলে থানায় অভিযোগ জানান।
অভিযোগকারিণীর তরফে শ্বশুরবা়ড়ি থেকে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘এ সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’ তাঁদের পাল্টা দাবি, সেন পরিবার পণের জন্য অত্যাচারও করত। ওই বধূ এক বার হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যাও করতে যান। কিন্তু স্বামী দেখে ফেলায় তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। এর পর থেকেই স্বামী বিকৃত যৌন লালসা মেটাতেন বলে তরুণীর অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের মে মাসে স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী। তাঁর দাবি, ফিরে আসার পরেই অত্যাচার বাড়ে। অভিযোগ, এর পরে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টাও করেন স্বামী। কিন্তু তিনি কোনও মতে বাড়িতে ফোন করেন ও বাপের বা়ড়ি চলে যান। পুলিশ সূত্রের অবশ্য দাবি, এ সব অভিযোগে নানা
বিভ্রান্তিও রয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। সেন পরিবারের মহিলাদের জবানবন্দি এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। পাল্টা অভিযোগ দায়ের হলে তা নিয়েও তদন্ত হবে।