চিকিৎসক তপোব্রত রায়। —ফাইল চিত্র।
রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল থেকে চিকিৎসকের গ্রেফতারি-কাণ্ডে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকের পর আইনি সহায়তার আশ্বাস পেলেন আইএমএ সদস্যেরা। সোমবার আইএমএ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতা পুসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। মূলত তিনটি দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন ডাক্তার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি মেনে চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে পুরসভা থেকে আইনি সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইএমএ-র সদস্য সুভাষ চক্রবর্তী। বৈঠক শেষে তিনি জানান, তাঁদের দাবি নিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করা হয়েছে। আইএমএ-র অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অভীক ঘোষ বলেন, ‘‘আইএমএ প্রথম দিন থেকে তপোব্রতের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে।’’ তিনি এ-ও জানান, তপোব্রতের মামলায় ‘পার্টি’-ও হতে পারে আইএমএ। যদিও তপোব্রতের সঙ্গে পুলিশের ব্যবহার নিয়ে ‘আপত্তি’ জানিয়েছেন আইএমএর পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রতিনিধি দল।
গত মঙ্গলবার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে কলকাতা পুরসভার একটি মেডিক্যাল টিম কর্মরত ছিল। সেই দলে ছিলেন পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত। ধর্মতলায় অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন জানিয়ে বুকে ‘প্রতীকী অনশনকারী’ লেখা ব্যাজ পরে কার্নিভালে কাজে যোগ দেন তিনি। ওই দাবি করে তাঁকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই রাতে তাঁকে জামিনে মুক্তিও দেওয়া হয়। পুরসভার চিকিৎসকদের দাবি ছিল, তপোব্রতের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। যে হেতু তিনি পুরসভার হয়ে কাজ করার সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাই তাঁকে তাদের পক্ষ থেকে সব রকমের আইনি সহায়তা দিতে হবে। এই দুই দাবিতেই সোমবার পুরসভা অভিযানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আইএমএর চিকিৎসকেরা। এর আগে পুরসভার চিকিৎসকেরা দাবি করেছিলেন, তপোব্রতকে গ্রেফতারের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে কলকাতা পুলিশকে। সেই দাবি থেকে অবশ্য তাঁরা সরে এসেছেন।
সোমবার কলকাতা পুরসভার তরফে কোনও আধিকারিক ওই বৈঠক নিয়ে মন্তব্য করেননি। তবে আইএমএ কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের বক্তব্য, কার্নিভালের দিন থেকে প্রায় এক সপ্তাহ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তপোব্রতের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মৌখিক সহমর্মিতা জ্ঞাপন ছাড়া আর কোনও দায়িত্ব পালন করেনি পুরসভা। তাদের উদাসীনতা বিস্মিত করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার সংগঠনের প্রতিনিধি