‘অবৈধ’ পার্কিং-ফি আদায় বিধাননগর জুড়ে

‘অবৈধ’ ভাবে বিধাননগর জুড়ে পার্কিং-ফি আদায় করছে কিছু বেসরকারি সংস্থা— গত কয়েক মাস ধরে এমনই অভিযোগ জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিধাননগর পুরনিগম। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৪৯
Share:

‘অবৈধ’ ভাবে বিধাননগর জুড়ে পার্কিং-ফি আদায় করছে কিছু বেসরকারি সংস্থা— গত কয়েক মাস ধরে এমনই অভিযোগ জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিধাননগর পুরনিগম। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। সম্প্রতি ‘বৈধ’ অনুমতি ছাড়া এক বিচারপতির পরিবারের কাছ থেকে পার্কিং-ফি নেওয়ার সময়ে একটি

Advertisement

পার্কিং সংস্থার চার কর্মী ধরাও পড়েন পুলিশের হাতে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, একাধিক সংস্থা এখনও পুরনো বিধাননগর পুরসভার নামেও পার্কিং-ফি আদায় করছে। যা সর্ম্পূণ বেআইনি। বার বার বলেও কাজ হয়নি। কিন্তু পদক্ষেপ কে করবে, তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে পুরনিগম এবং পুলিশের মধ্যে। বিধাননগর পুরনিগমের দাবি, পার্কিং-এর তালিকা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। কেউ বেআইনি ভাবে পার্কিং-ফি নিলে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। অথচ পুলিশের দাবি, তাদের কাছে এমন কোনও তালিকা নেই। তবে অভিযোগ বা খবর পেলে পদক্ষেপ করা হয়।

Advertisement

শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালের সামনে কলকাতা হাইকোর্টের এক জন বিচারপতির পরিবারের কাছ থেকে পার্কিং-ফি আদায় করছিলেন একটি বেসরকারি পার্কিং সংস্থার কর্মীরা। পুলিশের দাবি, যেখানে গাড়িটি ছিল সেখানে পার্কিং-ফি আদায়ের বৈধ অনুমতি ছিল না ওই সংস্থার কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে। তবে ওই সংস্থার অন্য কয়েকটি জায়গায় পার্কিং-ফি আদায়ের অনুমতি রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রেই যতটা জায়গার জন্য বরাত দেওয়া হয়, তার থেকে বেশি জায়গায় পার্কিং-ফি আদায় করে সংস্থাগুলি। সমস্যার কথা স্বীকার করে বিধাননগর পুরনিগমের কর্তা জানান, এমন অভিযোগ রয়েছে। তবে পুরনিগম হওয়ার আগে প্রশাসকের অধীনে থাকার সময়ে কিছু সংস্থার মেয়াদ পুনর্নবীকরণ করা হয়েছিল। সেই সব তালিকা পুলিশ প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয়েছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, সল্টলেক জুড়ে ১৬টি জায়গায় পার্কিং সংস্থাগুলিকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পুনর্নবীকরণের সময় ছিল। তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি সংস্থার পুনর্নবীকরণ হয়েছিল। বাকি অধিকাংশ জায়গায় সংস্থাগুলিকে নতুন করে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

যদিও পুরনিগমের দাবি অস্বীকার করে বিধাননগরের ডিসি ট্রাফিক জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার কাছে এমন কোনও তালিকা জমা হয়নি।’’ বাসিন্দাদের সংগঠনের এক কর্তা কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘পুরনিগম বা পুলিশ প্রশাসন কিছু করছে না। তবে কে পদক্ষেপ করবে? পার্কিং-সমস্যায় জেরবার আমরা। পুর-প্রশাসন অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক।’’

বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘পুরনিগম হওয়ার পরে কোনও সংস্থাকে পার্কিংয়ের বরাত দেওয়া হয়নি। এ সংক্রান্ত তালিকাও পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ নিয়ে আমরা ওয়াকিবহাল।’’ নির্বাচনী বিধির কারণে পরিকল্পনা নিয়ে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement