—প্রতীকী ছবি।
কারও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মামলা রুজু হলে, তা গুরুত্ব সহকারে দেখতে থানাগুলিকে নির্দেশ দিলেন কলকাতার নগরপাল। একই সঙ্গে এমন ঘটনা লালবাজারের মিসিং পার্সনস স্কোয়াড ও মানব পাচার-বিরোধী শাখাকেও জানানোর জন্য বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নগরপাল বিনীত গোয়েল থানার আধিকারিকদের নিয়ে মাসিক অপরাধ দমন বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি এই নির্দেশ দেন। নিয়ম মেনে মিসিং পোর্টালে নিখোঁজদের তথ্য আপডেট করতেও বলা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, কোনও ব্যক্তি যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, সেই জায়গার পার্শ্ববর্তী থানাগুলি যাতে অভিযোগকারীকে ফিরিয়ে না দেয়, তা-ও বলা হয়েছে বৈঠকে। অর্থাৎ, নিখোঁজের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হলে এলাকা না দেখেই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
গত সোমবার ভবানীপুরের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ভব্য লাখানি বালিগঞ্জ থানা এলাকায় নিজের
অফিস থেকে উত্তর ২৪ পরগনার নিমতায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। রাতেই পরিবারের তরফে বালিগঞ্জ থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়। বালিগঞ্জ থানার পুলিশ লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার সাহায্য নিয়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর ব্যবসায়িক সহযোগী অনির্বাণ গুপ্তকে আটক করে। মঙ্গলবার গভীর রাতে নিমতায় অনির্বাণের বাড়ি থেকেই ওই ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে নগরপাল এই প্রসঙ্গ তুলে বালিগঞ্জ থানার পুলিশের
ভূমিকার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, নিখোঁজ সম্পর্কিত অভিযোগ দায়ের হলে থানাগুলি যাতে মামলা রুজু করে নিয়ম মেনে তদন্ত করে, সে বিষয়েও জোর দিয়েছেন নগরপাল। নিখোঁজের মামলা রুজু হওয়ার পরে তা মিসিং পার্সনস পোর্টালে আপলোড করতে হয়। যা থেকে নিখোঁজদের সম্পর্কে অন্য থানাও জানতে পারে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ শহরতলির একটি থানার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ওই পোর্টালে তথ্য আপলোড না করার অভিযোগ উঠেছে।
এ দিন তাদের সে নিয়েও সর্তক করা হয়েছে।