Coronavirus

সংক্রমণ বাড়লেও ফের চালু হল ইছাপুর কারখানা

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কমাতে পাঁচ দিন আগেই উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভা ফের লকডাউন চালু করে। তার জন্য দু’টি কারখানাতেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তারাও লকডাউন চলাকালীন কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০২:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি

লকডাউন শিথিল হয়নি। এলাকায় সংক্রমণ কমারও লক্ষণ নেই। এরই মধ্যে অধিকাংশ কর্মী নিয়ে ফের চালু হয়ে গেল ইছাপুর মেটাল এবং স্টিল কারখানা। বুধবার সন্ধ্যায় নির্দেশিকা জারি করে বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে চালু করে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানাটি। এতে ক্ষুব্ধ কারখানার কর্মীরা। কারণ, গত দু’সপ্তাহ ধরে এই কারখানা এবং পাশের ইছাপুর রাইফেল কারখানায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল। রাইফেল কারখানা অবশ্য বন্ধই রয়েছে।

Advertisement

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কমাতে পাঁচ দিন আগেই উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভা ফের লকডাউন চালু করে। তার জন্য দু’টি কারখানাতেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তারাও লকডাউন চলাকালীন কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করে। কিন্তু বুধবার আচমকা কারখানা চালু হওয়ার নির্দেশ জারি হতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে কর্মীদের মধ্যে। কারণ, কারখানা কর্তৃপক্ষ সব কর্মীকে হাজির হতে নির্দেশ দেন। এমনিতেই লকডাউনের জন্য গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। অনেক কর্মীই এলাকার বাইরে থাকেন। তাঁরা কর্মস্থলে আসতে সমস্যায় পড়ছেন। তবে এ দিন কারখানায় হাজিরা ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ পুর প্রশাসনও। উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ বলেন, ‘‘লকডাউন চলাকালীন কারখানা চালু করার অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা কখনওই পুরসভার নেই। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কারখানা চালু করতে চেয়ে ওরা আমাদের চিঠি দিয়েছিল। আমরা তাঁদের জানিয়ে দিয়েছিলাম, লকডাউন নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের যে বিধিনিষেধ আছে, তা যেন তাঁরা পুরোপুরি মেনে চলেন।’’

Advertisement

এলাকায় লকডাউন সত্ত্বেও কারখানা ফের চালু করার নির্দেশ জারি করেছেন ওয়ার্কস ম্যানেজার কে সি মোহন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতোই কারখানা চালু করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement