হায়দরাবাদ গণধর্ষণ নিয়ে কী বলছে মিছিল-মিটিং-আন্দোলনের শহর কলকাতা?
হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করে হত্যা নিয়ে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, তখন কী বলছে মিছিল-মিটিং-আন্দোলনের শহর কলকাতা? এই এনকাউন্টার ঠিক না ভুল, দ্বিধাবিভক্ত দেশ। সারা দেশে আম আদমির একটা আবেগ, যা হয়েছে বেশ হয়েছে। অন্তত নির্ভয়ার পরিবারের মতো আদালতের দোরে দোরে ঘুরতে হবে না হায়দরাবাদের ওই তরুণীর পরিবারকে। যুক্তি, তক্কো, গপ্পোর শহরেও কি তারই প্রতিচ্ছবি?
সাত সকালে এনকাউন্টারের খবর চাউর হতেই কারও কারও ফেসবুক ওয়ালে স্টেটাস – ‘জাস্টিস সার্ভড’। হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাসের ছড়াছড়ি। কোনও কোনও হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে বিতর্কের ঝড়। সল্টলেকের বিভিন্ন আইটি সংস্থায় কাজ করা একটা বড় অংশের গলাতেও এই এনকাউন্টারের প্রতি সমর্থনের সুর। এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি তাঁরা। এনকাউন্টার নিয়ে যে মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রশ্ন তুলেছেন,তাঁদের শুনতে হল, ‘তুই তো বুদ্ধিজীবী হয়ে গেছিস’। কেউ কেউ নিলেন মধ্যপন্থা, ‘ঠিকই হয়েছে তবে, এতে তো ধর্ষণ আটকানো যাবে না’। ট্রেনে, বাসে, মেট্রোতেও জোর আলোচনা। শহরবাসীর ‘সেন্টিমেন্ট’ জানতে আমরা ঢুঁ মেরেছিলেন সদাব্যস্ত ধর্মতলা চত্বরেও। সিএসটিসি বাস স্ট্যান্ডে বাস ছাড়ার অপেক্ষায় বসে থাকা কলেজ ছাত্রী প্রিয়দর্শিনীর সপাটে জবাব ‘এত আনন্দ ভাল রেজাল্ট করেও পাইনি’। ফিজিওথেরাপিস্ট রমা সামন্তের মত, ‘এমন একটা কিছু হওয়া উচিত ছিল’। প্যারামেডিক্যাল ছাত্র সোহম আবার এই ঘটনাকে আংশিক ভাবে সমর্থন করেন।
তবে যে কোনও সামাজিক ইস্যুতে যে শহর সবসময় সরব থাকে, সেই শহরেই এমন এক দল মানুষকে পাওয়া গেল, যাঁরা মতামত তো দূর অস্ত্, রা পর্যন্ত কাড়লেন না!
আরও পড়ুন: আমার স্বামীকে যাঁরা খুন করেছেন, তাঁদেরও হত্যা করুন, বলছেন অভিযুক্তের স্ত্রী
আরও পড়ুন: প্রশস্তির পাশাপাশি এনকাউন্টার নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে তেলঙ্গানা পুলিশ