দু’বছরে সংখ্যাটা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতায় ঘরে ঘরে এসি লাগানোর হিড়িক বাড়ছে।
প্রতি বছরই গরম পড়ার আগে শীতের আমেজ থাকতেই এসি লাগানোর ব্যস্ততা শুরু হয়। চলে জুন-জুলাই পর্যন্ত। সিইএসসি সূত্রে খবর, ২০১৫-এ ফেব্রুয়ারি-মার্চে এসি লাগানোর ছ’হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। এ বছর ওই দু’মাসে সেই সংখ্যাটাই ১৪ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। অর্থাৎ, এ বছর এখনই দ্বিগুণেরও বেশি এসি লাগানোর আবেদনপত্র জমা পড়েছে সিইএসসি-র ঘরে। কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, সামনের বছর এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।
গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতায় এসি-র চাহিদা ঊধ্বর্মুখী। ২০১৫ সালে গরমের সময়ে সিইএসসি এলাকায় এসি বসেছিল ৫৫ হাজার। পরের বছর ২০১৬ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ হাজারে। তা হলে এ বছর সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে? অঙ্কের হিসেবে সিইএসসি-কর্তাদের একাংশ বলছেন, সংখ্যাটা এক লক্ষের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকবে। কারণ, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে গরম বাড়তেই প্রতিটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রেই প্রচুর সংখ্যক এসি-র আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
২০১৫-র গ্রীষ্মে এ শহরে বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা উঠেছিল ২০৪২ মেগাওয়াটে। ২০১৬ সালে সেই চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ২০৫৯ মেগাওয়াট। ওই বছর ২৭ এপ্রিল দুপুরে গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শহরের গ্রাহকদের সব থেকে বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে চাহিদা বেড়েছিল ১৭ মেগাওয়াট। সংস্থার কর্তারা মনে করছেন, এ বছর গরমে চাহিদা খুব বেশি হলে ২১০০ মেগাওয়াটে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। অর্থাৎ, গত
বছরের তুলনায় চাহিদা ৪০ মেগাওয়াট বাড়তে পারে।