প্রতীকী চিত্র।
দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে পুর ভোটের আগে ৪১৯ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীর পুনর্নিয়োগের কথা ঘোষণা করল হাওড়া পুরসভা। মাস দেড়েক আগে নবান্নের নির্দেশ আসা সত্ত্বেও প্রক্রিয়াগত জটিলতায় আটকে গিয়েছিল ওই কর্মীদের পুনর্নিয়োগ। বৃহস্পতিবার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ জানান, কোনও তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই ওই ৪১৯ জনকে সরাসরি পুরসভায় চাকরিতে নেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য। শীঘ্রই তাঁদের কাজে যোগ দিতে বলা হবে।
পুরসভার আর্থিক দুরবস্থার কারণ দেখিয়ে প্রায় ১০ মাস বেতন দেওয়া হয়নি ওই কর্মীদের। শেষে গত অক্টোবরে তাঁদের বসিয়েই দেওয়া হয়। এর পরের মাসে যখন হাওড়ায় ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার নিয়েছে, তখন আচমকা পুরসভায় এসে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘোযণা করেন, ওই ৪১৯ জনকে পুনর্নিয়োগ করা হল। একটি প্রকল্প তৈরি করে তাঁদের সেখানে কাজে লাগানো হবে।
ওই ঘোষণার পরে মশাবাহিত রোগ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোর জন্য কর্মী-নিয়োগের একটি প্রকল্প তৈরি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠান পুর কমিশনার। প্রায় দু’মাস পরে তাতে অনুমোদন দেয় অর্থ
দফতর। পাশাপাশি, কমিশনারকে চিঠি দিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বলে ৪১৯ জন কর্মীকে নিয়োগ করতে। চিঠিতে আরও বলা হয়, মশাবাহিত রোগ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নজরদারির অভাব রয়েছে। তাই ওই দুই ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য নিযুক্ত হওয়া কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে সরকারি বিভিন্ন বাজেট বরাদ্দ থেকে। যদি কোনও ঘাটতি হয়, বাকিটা মিটিয়ে দেবে স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা)।
হাওড়ার পুরকর্তাদের বক্তব্য ছিল, ৪১৯ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে পুরসভায় সরাসরি নিয়োগের ব্যাপারে ওই চিঠিতে কিছু বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, তৃতীয় কোনও সংস্থার উপরে দায়িত্ব দিতে হবে তাঁদের নিয়োগ করার। সেই বিষয়টিতেই আপত্তি তোলেন কাজ হারানো কর্মীরা। যার জন্য আবারও থমকে যায় তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। চাকরিতে ফের বহাল করার দাবিতে তাঁরা দফায় দফায় মন্ত্রী, নেতা, পুর কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। তার পরেই এ দিন পুর কমিশনার ওই ৪১৯ জনকে চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন।