কাটা ফল বন্ধে পুর-অভিযান

পুরসভার আশপাশেই চলছিল কাটা-ফল থেকে বরফ দেওয়া রঙিন ঠান্ডা পানীয়ের অবাধ বিক্রি। দফায় দফায় এই অভিযোগ আসছিল হাওড়া পুরসভায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৩
Share:

হাতেনাতে: কাটা ফল, সরবত বিক্রি বন্ধে রাস্তায় হাওড়ার পুর আধিকারিকেরা। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

পুরসভার আশপাশেই চলছিল কাটা-ফল থেকে বরফ দেওয়া রঙিন ঠান্ডা পানীয়ের অবাধ বিক্রি। দফায় দফায় এই অভিযোগ আসছিল হাওড়া পুরসভায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হল কাটা ফল, রঙিন পানীয়-সহ খোলা খাবারের দোকান। অভিযানের নেতৃত্ব দিলেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) ভাস্কর ভট্টাচার্য।

Advertisement

তিনি জানান, সারা গ্রীষ্ম জুড়ে এই অভিযান চলবে।

হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, প্রতি গরমে হাওড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আন্ত্রিক মারাত্মক আকার নেয়। পেটের অসুখের অন্যতম কারণ ফুটপাথের খোলা খাবার, কাটা-ফল থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত প্রচারও করে পুরসভা। কিন্তু তাতেও লাভ হয় না বলে জানাচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কাটা-ফল ও রঙিন পানীয় নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসায় এ দিনের অভিযান।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভার উল্টো দিকের ফুটপাথ থেকে অভিযান শুরু হয়। সেখানে দেখা যায়, খোলা জায়গায় রাখা খাবার, কাটা-ফল-সহ রঙিন ঠান্ডা পানীয় বিক্রি হচ্ছে। একই ছবি হাওড়া ময়দান, বাঙালবাবুর ব্রিজ এবং হাওড়া স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড চত্বরে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা কাটা-ফল, রঙিন ঠান্ডা পানীয় রাস্তায় ফেলে তার উপর ব্লিচিং ছড়িয়ে দেন।

অভিযান চলাকালীন পথচারীদের হাতে সুস্থ থাকার নিয়ম-নীতি লেখা লিফলেট বিলি করা হয়। সেখানে পুরসভার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে, খোলা স্থানে খাবার থাকলে নোংরা পড়ে বা মাছি বসে খাবারকে দূষিত করে তাই ওই খাবার খাওয়া উচিত নয়। পাশাপাশি রঙিন ঠান্ডা পানীয় নিয়ে নিষেধাজ্ঞায় বলা রয়েছে, অনুমোদনহীন রং স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সেই সঙ্গে কোনও প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে তার মেয়াদ যাচাই করার আবেদনও করা রয়েছে ওই লিফলেটে।

এ দিন পুরসবার পক্ষ থেকে বিক্রেতাদের বলা হয়, নিয়ম না মেনে খাবার বিক্রি করলে পুরসভা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। পুলিশি মামলাও হতে পারে। এ দিনের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য), দফতরের অধিকারিক আশুতোষ কুণ্ডু, বিশাখা হালদার এবং ফুড সেফটি অফিসার সোহিনী ঘোষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement