পায়েল রায়। নিজস্ব চিত্র
নেতাজিনগরের গৃহবধূ পায়েল রায়ের মৃত্যুকে কোনও ভাবেই আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে রাজি নন তাঁর মা বলাকা চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার রাতে নেতাজিনগরের ২২৬/৫/১ নেতাজি সুভাষ বসু রোডের বাসিন্দা পায়েলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তার পরেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনেন পায়েলের মা এবং পরিবার। যদিও অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে বধূ নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না এলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যদি তাতে কিছু ধরা পড়ে, তখন ধারা পরিবর্তন করা হবে। আপাতত রুজু করা মামলার ভিত্তিতে পায়েলের স্বামী মৃগাঙ্ক রায় ও ভাসুর মৃদুলকে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ।
পায়েলের মা শনিবার দাবি করেন, ‘‘মেয়ের দেহ নেওয়ার সময়ে আমরা ওর গলায় একটি ছোট দাগ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি।
বরং মুখে, ঠোঁটের চারপাশে রক্ত জমাট বাঁধার মতো লাল দাগ ছিল। ওঁরা যতই বলুন ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে, আমি মানব না। ওকে খুনই করা হয়েছে।’’ বৃহস্পতিবার রাতে পায়েলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওঁর শাশুড়ি আবাসনের কাউকে না ডেকে পুলিশকে না জানিয়েই হাসপাতালে নিয়ে গেলেন কী করে, প্রশ্ন তুলেছেন বলাকাদেবী।
তাঁর অভিযোগ, মেয়ের বিয়ের দেড় মাসের মাথাতেই অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই সময়ে ব্যাগ গুছিয়ে শ্যামনগরে তাঁর কাছে ফিরে গিয়েছিলেন মেয়ে। কিন্তু জামাই ও তাঁর দাদা শ্যামনগরে গিয়ে পায়েলকে বুঝিয়ে ফের শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যায়। টানা অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এর পরেও একাধিক বার পায়েল শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মায়ের কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আবারও জামাই এসে বুঝিয়ে নিয়ে যেতেন ওকে। আগেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন পায়েল, দাবি বলাকাদেবীর।