শনিবার খেলা শুরুর তিন ঘণ্টা আগে বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে ইডেনের সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হবে। তিন ধাপে টিকিট পরীক্ষা করা হবে দর্শকদের।
তিন বছর দু’মাস ১৫ দিন পরে আবার ইডেনে ভারত-পাক ম্যাচ। পরিস্থিতিও বদলে গিয়েছে অনেকটা। এতটাই যে, দিল্লি থেকে কলকাতায় ম্যাচ দেখতে আসবেন বলেছিলেন পাক হাইকমিশনারের অফিসারেরা। কিন্তু বুধবার ইডেনের পাক-বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে আসার অনুমতি দেয়নি মোদী সরকার। শেষে আলাপ-আলোচনার পরে বরফ গলেছে। ভারত-পাক ম্যাচ দেখতে কলকাতায় আসছেন পাক হাইকমিশনার আব্দুল বসিত-সহ অন্য অফিসারেরা।
এক দিকে জঙ্গি গোষ্ঠীর হুমকি, অন্য দিকে হিন্দু উগ্রবাদীদের আস্ফালন। যার জন্য ধর্মশালার নির্ধারিত ম্যাচ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েই ইডেনে বদলি করা হয়েছে। হিন্দু উগ্রবাদীদের হুমকির মুখে পাকিস্তান ক্রিকেট দলই ধর্মশালায় খেলতে চায়নি। সেই ম্যাচ ইডেনে। চিন্তায় ঘুম উড়ে গিয়েছে কলকাতার পুলিশকর্তাদের। আব্দুল বসিত-সহ পাক হাইকমিশনের অফিসারেরা যেমন থাকছেন, তেমনই থাকবেন ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রাম, ইনজামাম উল হকের মতো প্রাক্তন পাক তারকারা। মাঠে থাকবেন অমিতাভ বচ্চন। সঙ্গে সচিন তেণ্ডুলকর, মুকেশ অম্বানী। সর্বোপরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে, আকাশ থেকে নজরদারির জন্য কলকাতা পুলিশের ড্রোন ব্যবহার করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
পুলিশের আশঙ্কা, শনিবারের ইডেনের গ্যালারির একটি আসনও খালি থাকবে না। যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, এত দর্শকের কথা ভেবেই ম্যাচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগে খুলে দেওয়া হবে গেট। পুলিশ চাইছে, ম্যাচ শুরুর বেশ কিছু আগেই যেন দর্শকেরা মাঠে ঢুকে পড়েন। আর এত দর্শক ও ভিআইপি-দের জন্য নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা।
ভিতর ও বাইরে মিলিয়ে মাঠে থাকছেন ৯ জন যুগ্ম কমিশনার, চার জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। থাকবেন ২১ জন ডেপুটি কমিশনার, ৪৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ১৩০ জন ইনস্পেক্টর, ৪১৪ সাব-ইনস্পেক্টর ও সার্জেন্ট, ৩৭৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর এবং ২২০০ জন কনস্টেবল। স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড, পুলিশ মেমোরিয়াল এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে থাকবে তিনটি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ এবং তিনটি পুলিশ হেল্প বুথ। তৈরি হচ্ছে ন’টি ওয়াচ টাওয়ারও। ইডেনের গেটে গেটে ১১টি বালির বাঙ্কার, ৫টি বুলেট-প্রুফ বড় বড় গাড়ি থাকবে।