বন্দর এলাকায় কমল না জট

পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, হাইড রোডে মেরামতির কাজ চলছে। তার উপরে বেলা ১২টার পর থেকে শুরু হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। তার ফলেই বন্দর এলাকার যানজট কমানো যাচ্ছে না। যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে তারাতলা রোডেও। তা হলে নিউ আলিপুর ও চেতলায় যানজট কমল কী ভাবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২৮
Share:

—ফাইন চিত্র।

আলিপুর ও চেতলায় যান চলাচল মোটের উপরে স্বাভাবিক থাকলেও বৃহস্পতিবার বেহালাবাসীকে ভোগাল বন্দর এলাকা। নিত্যযাত্রীদের অভিজ্ঞতা বলছে, গত ক’দিন ধরে তারাতলা রোড ও হাইড রোডে যানজট যেমন হচ্ছিল, এ দিনও সেই ছবিটা বদলায়নি। পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, হাইড রোডে মেরামতির কাজ চলছে। তার উপরে বেলা ১২টার পর থেকে শুরু হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। তার ফলেই বন্দর এলাকার যানজট কমানো যাচ্ছে না। যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে তারাতলা রোডেও।

Advertisement

তা হলে নিউ আলিপুর ও চেতলায় যানজট কমল কী ভাবে?

পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় ছোট গা়ড়িগুলিকে সরু রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে বড় রাস্তা দিয়ে বাস ও বড় গাড়ি যেতে পারছে। এস এন রায় রোড, জ্যোতিষ রায় রোড, বি এল শাহ রোড, শ্যাম বসু রোডের মতো ছোট রাস্তা দিয়ে একমুখী গাড়ি চালানো হচ্ছে। আর দুর্গাপুজোর মতোই ওই সমস্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে যান নিয়ন্ত্রণেও জোর পড়েছে। তবে অনেকে এ-ও বলছেন, নিউ আলিপুর, চেতলা এলাকায় যানজট না হলেও এ দিন ঢিমেতালে গড়িয়েছে গাড়ির চাকা। এ কথা মেনে নিচ্ছেন ট্র্যাফিক পুলিশের অফিসারেরাও। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, ধীরে এগোলেও গাড়ির চাকা যেন সচল থাকে। বিকল্প পথ বার করে সেই ছোট রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোয় এ দিন কিছুটা সুবিধা হয়েছে।’’

Advertisement

কিন্তু বন্দর এলাকার ছবি ছিল কার্যত উল্টো! পুলিশের একাংশেরই বক্তব্য, সকালের দিকে তারাতলা রোড এবং হাইড রোড গাড়ির চাকা তবু গড়াচ্ছিল। কিন্তু বেলা যত গড়িয়েছে, ততই বিগড়ে গিয়েছে পরিস্থিতি। ওই এলাকার এক নিত্যযাত্রী জানান, ব্রেস ব্রিজ থেকে তারাতলা নেচার পার্ক হয়ে গার্ডেনরিচ উড়ালপুলে পৌঁছতে এ দিন দুপুরে পাক্কা এক ঘণ্টা সময় লেগেছে তাঁর। দুপুরে যানজটে আটকে থাকা এক বাসচালক জানান, সকালে যে রাস্তা যেতে ১৫ মিনিট সময় লেগেছিল, দুপুরে সেটাই প্রায় এক ঘণ্টা লাগছে!

প্রশ্ন উঠেছে, একে তো হাইড রোডের মেরামতি শেষ হয়নি। পরিস্থিতিও জটিল হয়ে রয়েছে। তার আগেই বন্দর এলাকায় দুপুরে কেন পণ্যবাহী ট্রাক চালানোর অনুমতি দিল লালবাজার? পুলিশকর্তাদের ব্যাখ্যা, রাতে এক সঙ্গে সব গাড়ি বেরোলে ভোর পর্যন্ত যানজট থাকছে। তার পরিণাম ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে। তার উপরে দুপুরে গাড়ি না ছাড়লে সেই সব গাড়ি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থেকে যানজটও বা়ড়িয়ে দেবে। দুপুরে তুলনামূলক ভাবে যাত্রী ও বাসের চাপ কম থাকায় কিছু গাড়িকে শহরের বাইরে পাঠানো যাচ্ছে। এক পুলিশকর্তার দাবি, ‘‘হাইড রোডের মেরামতি এবং তারাতলা রোডের সম্প্রসারণের কাজ হয়ে গেলে ওই দুই রাস্তায় গাড়ির গতি বাড়বে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement