বয়স্ক পুলিশদের বন্দুকের নিশানা ঠিক আছে কি না, তা কত দিন অন্তর পরীক্ষা করা হয়, জানতে চান কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। পুলিশদের শারীরিক সক্ষমতা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিচারপতি মাত্রে এই প্রশ্ন তোলেন। রাজ্য বা কলকাতা পুলিশে এ নিয়ে দ্বিমাসিক বা ত্রৈমাসিক পরীক্ষার বন্দোবস্ত রয়েছে কি না, জানতে চান তিনি। রাজ্যের স্বরাষ্ট সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে বিচারপতি মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা ঠিক রাখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা এ নিয়ে রাজ্যের কী নীতি আছে, তা পেশ করতে হবে হলফনামা আকারে।
১৩ জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল, কী করে অপরাধীদের ধাওয়া করে ধরবে ভুঁড়িধারী পুলিশ। ওই দিন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেয়, পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা (ফিটনেস) ও সতর্কতা বজায় রাখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অথবা এ নিয়ে রাজ্য সরকারের কী নীতি রয়েছে, তা হলফনামা আকারে পেশ করতে।
এ দিন সরকারি কৌঁসুলি তপন মুখোপাধ্যায় আদালতে স্বরাষ্ট্র দফতরের এক ডেপুটি সেক্রেটারির সই করা হলফনামা পেশ করেন। তা খুঁটিয়ে দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতি মাত্রে মন্তব্য করেন, ‘‘ডেপুটি সেক্রেটারি কি নীতি ঠিক করেন?’’ ডিভিশন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর প্রশ্ন, ‘‘বয়স্ক পুলিশকর্মীর সক্ষমতা, সতর্কতা ঠিক রয়েছে কি না, কী ভাবে পরীক্ষা করা হয়?’’ তপনবাবু জানান, রাজ্য বা কলকাতা পুলিশে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নতুন বা পুরনো সব কর্মীকেই দেওয়া হয়। বিচারপতি মাত্রে নির্দেশ দেন, নির্দিষ্ট করে জানিয়ে হলফনামা পেশ করতে হবে তিন সপ্তাহের মধ্যে। মামলার আবেদনকারী জনৈক কমল দে-কে নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই হলফনামা নিয়ে কোনও বক্তব্য থাকলে তা এক সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা দিয়ে জানাতে। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে।