বিভিন্ন স্কুলে শৌচাগারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্যকে একাধিক পরামর্শ দিল হাইকোর্ট। সম্প্রতি রানিকুঠির একটি স্কুলের শৌচাগারে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কয়েক দফা পরামর্শ দেন বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ভিত্তিতে রাজ্যের মতামতও চাওয়া হয়েছে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ২২ জুলাই।
ওই স্কুলেই ২০১৭ সালে এক ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। তখন স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়। এই ঘটনার পরে ফের সেই মামলা নতুন করে শোনার আর্জি জানানো হয়। এ দিন ওই স্কুলের বিরুদ্ধে মৃত ছাত্রীর বাবা-মায়ের অভিযোগ আছে কি না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে তাঁদের মামলায় যুক্ত করতে নোটিস পাঠানো হচ্ছে। এ দিন হাইকোর্ট বলেছে, প্রয়োজনে শৌচাগারের বাইরে সহায়ক বা অ্যাটেন্ড্যান্ট নিয়োগ করা যেতে পারে। প্রতি ক্লাসে হাজিরা গণনা করা যেতে পারে। বৃহত্তর কলকাতার সব স্কুলে কত শৌচালয় আছে ও তাতে কত জন সহায়ক লাগবে, জানতে চেয়েছে আদালত। ২০১৭ সালের শিশু নিগ্রহের পরে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করেছে এবং সাম্প্রতিক ছাত্রী-মৃত্যুর তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা মুখবন্ধ খামে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
শহরের স্কুলগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর (এস ও পি) তৈরি করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। এ নিয়ে শীঘ্রই ডিসি এবং এসি-দের নিয়ে কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসবেন।