আমরি-কাণ্ডের সাড়ে তিন বছর পরেও নিম্ন আদালতে ঘটনার চার্জ গঠন হল না কেন, প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর ভোরে আমরি হাসপাতালে আগুন লেগে ৯০ জনেরও বেশি মারা যান। আলিপুর আদালতে মামলার চার্জশিট পেশ হলেও নানা অছিলায় বিচার প্রক্রিয়াই শুরু হচ্ছে না— এই অভিযোগে মামলা করেছেন নিহতদের পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্যের জিপি-র উদ্দেশে ওই প্রশ্ন করেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। নিহতদের পরিজনদের আইনজীবী কিশোর দত্ত অভিযোগ করেন, আলিপুরের অতিরিক্ত জেলা জজের আদালতে অভিযুক্তেরা কখনও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করছেন, কখনও অসুস্থতা দেখিয়ে হাজির হচ্ছেন না। কোন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন ধারায় নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হবে, তা-ই ঠিক হচ্ছে না। কিশোরবাবু বিচারপতি দত্তের কাছে আবেদন করেন, আমরি-মামলার শুনানির জন্য নির্দিষ্ট একটি বেঞ্চ তৈরি করে দিক হাইকোর্ট।
তা শুনে জিপি অভ্রতোষ মজুমদারের উদ্দেশে বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘‘আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনেছেন? সাড়ে তিন বছর পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও চার্জ গঠনই হল না!’’
আমরি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তথা হাসপাতালের অন্যতম ডিরেক্টর রাধেশ্যাম অগ্রবালের আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র আদালতে জানান, দেশের ফৌজদারী আইনে এ ভাবে আলাদা বেঞ্চ তৈরির ব্যবস্থা নেই। তা ছাড়া, তাঁর মক্কেল ও অন্য এক অভিযুক্ত চিকিৎসক আলিপুর আদালতে আলাদা মামলা করেছেন, তাঁদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য। তার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে কী ভাবে চার্জ গঠন সম্ভব?
২৭ অগস্ট আলিপুর আদালতের সব নির্দেশ নিয়ে তাঁর আদালতে সব পক্ষকে হাজির হতে নির্দেশ দেন বিচারপতি দত্ত।