প্রতীকী ছবি।
বেআইনি সোনা-রুপোর অলঙ্কার-সহ নিষিদ্ধ জিনিসপত্র নির্দিষ্ট স্থানে পাচার করার কাজে হাওড়া স্টেশনকে যে করিডর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, ফের তার প্রমাণ মিলল। এ বার লক্ষাধিক টাকার গয়না-সহ হাওয়ালা ব্যবসায় জড়িত এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল আরপিএফ।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মুকেশকুমার চন্দ্রবংশী। তিনি বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে ১৫ কেজিরও বেশি রুপোর গয়না উদ্ধার হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।
রেলরক্ষী বাহিনীর দাবি, বেআইনি পাচার রুখতে রেলের তরফে স্টেশনে ঢোকার এবং বেরোনোর পথে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। নিয়মিত সেটি ব্যবহারও করা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের পুরনো কমপ্লেক্সে মুকেশকে সন্দেহজনক ভাবে দু’নম্বর গেটের দিকে যেতে দেখা যায়। তাঁর হাতে ছিল একটি কালো রঙের ব্যাগ। মুকেশের হাবভাব দেখে সন্দেহ হওয়ায় স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফের এক কর্মী দু’নম্বর গেটে থাকা আরপিএফ কর্মীকে বিষয়টি জানান। ওই আরপিএফ কর্মী মুকেশকে আটক করে তাঁর ব্যাগে কী আছে জানতে চান। তখনই পালানোর চেষ্টা করেন মুকেশ। কিন্তু আরপিএফ কর্মীরা ধরে ফেলেন তাঁকে। স্ক্যানারে পরীক্ষা করে দেখা যায়, ব্যাগে সন্দেহজনক কিছু আছে। এর পরেই ব্যাগ খুলে উদ্ধার করা হয় ১৫ কেজি ৮০০ গ্রাম রুপোর গয়না। যার আনুমানিক মূল্য ১২ লক্ষ টাকা।
রেলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, ওই বিপুল পরিমাণ গয়না কোথা থেকে এল, কোথায়ই বা যাচ্ছিল, সে ব্যাপারে ওই ব্যক্তি সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেননি। কোনও বৈধ কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি তিনি। এর পরে ওই গয়না যাচাই করে তা জিএসটি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে জানা যায়, মুকেশ হাওয়ালা ব্যবসায় জড়িত। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।