শিশুটির উপরে যৌন নির্যাতন হয়েছে, এ কথা তিনি বলেননি। তবে ‘কোথাও কোনও একটা সমস্যা রয়েছে’, সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার এ কথা জানালেন জি় ডি বিড়লা স্কুলের শিশুটির চিকিৎসক। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে প্রথমে এই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে পরিবার সূত্রে দাবি। দৃষ্টি কোঠারি নামে ওই চিকিৎসকই শিশুটির উপরে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত দিয়ে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে পরিবার সূত্রে গোড়া থেকেই দাবি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুটির দ্বিতীয় দফায় শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তার উপরে যৌন নিগ্রহ হয়েছে কি না সে বিষয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না। এর পরে সন্ধ্যাতেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়েছে বলে দাবি করে তাকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাবা-মা। বাবা জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ের পেটে খুবই ব্যথা হচ্ছে। ওই হাসপাতালের তরফেও সে কথা জানানো হয়। ওই বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজার (অপারেশনস) সুমিত শর্মা জানান, এ দিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে অ্যান্টিবায়োটিক এবং পেনকিলার দেওয়া হয়েছিল। যাঁর অধীনে শিশুটি ভর্তি হয়েছিল, সেই চিকিৎসক রাজেশ গোয়েল বলেন, ‘‘আপাতত শিশুটির কোনও যন্ত্রণা নেই। সে ঠিক আছে।’’
শিশুর অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী এ দিন শিশুটিকে হাসপাতালে দেখতে যান। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, শিশুটি ঠিক আছে। সে নাচ-গান করে তাঁকে দেখিয়েছে।
এ দিন আলিপুর আদালতে শিশুর গোপন জবানবন্দি ছিল। কিন্তু হাসপাতালে থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। মেয়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বাবা বলেন, ‘‘ওষুধ খাওয়ার পরে কিছুটা সুস্থ থাকছে। তার পরে ফের যন্ত্রণায় ছটফট করছে।’’ একাধিক বার মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষার জেরে শিশু অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এসএসকেএমের দ্বিতীয় বারের মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট সম্পর্কে শিশুটির বাবা দাবি করেন, ‘‘প্রথম বারই তো হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট যা লেখার লেখা হয়েছিল। বারবার কেন আমার মেয়েকে এত কষ্ট দেওয়া হচ্ছে?’’