অভিযুক্তকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সে! প্রতীকী ছবি।
পুলিশি হেফাজতে থাকা অভিযুক্তকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সে! অভিযোগ, এক বার নয়, এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে একাধিক বার। হরিদেবপুর থানার এই ঘটনায় নানা মহলে শোরগোল পড়েছে।
অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, নিরাপত্তার দিক থেকে অভিযুক্ত বা আসামিকে যেখানে লোহার কোল্যাপসিবল গেটওয়ালা প্রিজ়ন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া নিয়ম, সেখানে কেন এমন পদক্ষেপ করা হল? কেন মানা হল না আসামিকে আদালতে হাজির করানোর আইনি বিধি? পুলিশকর্তারা যদিও জানাচ্ছেন, আপাত ভাবে এই কাজে কোনও ভুল নেই। তবে, উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের না জানিয়ে এমন কাজ করার জন্য হরিদেবপুর থানার পুলিশের গাড়িচালককে ক্লোজ় করা হয়েছে। পুলিশ ওই অভিযুক্ত বা গাড়িচালকের নাম প্রকাশ করতে চায়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, হরিদেবপুর থানা এলাকায় মেট্রোর কাজের জন্য প্রায়ই লোডশেডিং হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না থানাও। গত ২৭ মে ওই রকমই লোডশেডিংয়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এক ব্যক্তি। থানা থেকে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, ওই দিনই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। ফলে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সেই তাঁকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, এই ঘটনাতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রাক্তন পুলিশকর্তারা বলছেন, গুরুতর অসুস্থ না হলে কোনও ভাবেই অভিযুক্তকে অ্যাম্বুল্যান্সে আদালতে নিয়ে যাওয়ার কথা নয়। একান্তই নিয়ে যেতে হলে পুলিশি পাহারায় নিয়ে যাওয়ার কথা। একই মত আইনজীবীদেরও। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই অভিযুক্ত অসুস্থ থাকায় অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়েযাওয়া হয়েছিল। সে দিনই আদালতে হাজির করানোর কথা থাকায় থানায় ফিরিয়ে এনে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
কিন্তু, তা হলে থানার গাড়িচালককে ক্লোজ় করা হল কেন? লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, থানার গাড়িচালক যে হেতু হাসপাতাল থেকে সরাসরি আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি এ ব্যাপারে তাঁর উচ্চপদস্থ কোনও আধিকারিকের থেকে অনুমতি নেননি, তাই তাঁর ক্ষেত্রে কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি উঠে এসেছে। এই কারণেই তাঁকে ক্লোজ় করা হয়েছে।