প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালে এক রোগিণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে শহরের পাভলভ হাসপাতালে। মৃতের নাম আশা বর্মা (৪০)।
পুলিশ জানিয়েছে, আলিপুর আদালতের নির্দেশে গত ২৫ নভেম্বর চিকিত্সার জন্য আশাদেবীকে পাভলভে ভর্তি করান যাদবপুর থানার সাব-ইনস্পেকটর সুশান্ত মণ্ডল। চিকিত্সক এ মুখোপাধ্যায়ের অধীনে চিকিত্সাধীন ছিলেন ওই রোগিণী। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের পাঁচ তলায় মহিলা ওয়ার্ডে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান হাসপাতালের কর্মীরা। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাহায্যে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরীক্ষা করার পর চিকিত্সকরা আশাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ এনআরএস হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সকলের নজর এড়িয়ে এক জন রোগী আত্মহত্যা করলেন, অথচ কেউ টেরও পেলেন না? এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিচারবিভাগীয় ও ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে তপসিয়া থানা। এই ঘটনায় কার গাফিলতি ছিল তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রোগীদের ‘জীবন্ত ঈশ্বর’ নীলরতন সরকার
আরও পড়ুন: স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে বাবাকে খুনের চেষ্টা, গ্রেফতার ছেলে