তৃণমূলের কোন্দলে দর্জিপাড়ায় রক্তপাত

কলকাতায় পুরভোট হয়েছে ১৮ এপ্রিল। ঠিক এক মাসের মাথায়, সোমবার রাতে তৃণমূলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দর্জিপাড়া এলাকা। সংঘর্ষে আহত হন দু’পক্ষের ছ’জন। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মোহন গুপ্তও জখম হয়েছেন বলে তিনিই ফোনে জানান। নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতে মোহন সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পুলিশি সূত্রের খবর, তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগে রাকেশ শর্মা নামে এক দুষ্কৃতী এবং দুই সঙ্গীকে ভোটের পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৫ ০৩:১১
Share:

কলকাতায় পুরভোট হয়েছে ১৮ এপ্রিল। ঠিক এক মাসের মাথায়, সোমবার রাতে তৃণমূলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দর্জিপাড়া এলাকা। সংঘর্ষে আহত হন দু’পক্ষের ছ’জন। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মোহন গুপ্তও জখম হয়েছেন বলে তিনিই ফোনে জানান।

Advertisement

নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতে মোহন সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পুলিশি সূত্রের খবর, তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগে রাকেশ শর্মা নামে এক দুষ্কৃতী এবং দুই সঙ্গীকে ভোটের পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ দিন দুপুরে তারা জেল থেকে ছাড়া পায়। অভিযোগ, মোহন তাদের নিয়ে রাতে এলাকায় ঢুকতে গেলে বাসিন্দারা বাধা দেন। বচসা বাধে। রাকেশ-সহ দুষ্কৃতীরা তখন কাঠমারবাগান বস্তি এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে আক্রমণ চালায়। সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। কিংশুক শর্মা নামে একটি শিশু-সহ কয়েক জন আহত হন। শিশুটিকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

হাঙ্গামার জন্য পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছে মোহনের গোষ্ঠী এবং বিদায়ী কাউন্সিলর পার্থ হাজারির অনুগামীরা। মোহনের অভিযোগ, লয়েড ভদ্র, দীপক সিংহ-সহ পার্থের অনুগামীরা রাকেশের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে হুমকি দেয়। সেই খবর পেয়ে কাউন্সিলর হিসেবে তিনি সেখানে যান। ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোহন বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করায় লয়েড-দীপকেরা আমার উপরে চড়াও হয়। হকি স্টিক দিয়ে মাথায় মারে। আমার নাক দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। আমি এখন আর জি কর হাসপাতালে।’’

Advertisement

প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের পার্থ জানান, লয়েড-দীপকদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যে। তিনি ফোনে বলেন, ‘‘রাকেশ এ দিন ছাড়া পেয়েই বদলা নিতে এলাকায় হামলা চালায়। তাদের মদত দেন নতুন কাউন্সিলর। রাকেশদের দোষ ঢাকতেই মোহন দায় চাপাচ্ছেন দীপক-লয়েডদের উপরে।’’

শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎ এমন হাঙ্গামা কেন?

এলাকার বাসিন্দারা জানান, আসলে দর্জিপাড়া, কাঠমারবাগান বস্তি এলাকায় মোহন খুব কম ভোট পেয়েছিলেন। তারই বদলা নিতে রাকেশদের নিয়ে তিনি এ দিন হামলা চালান বলে অভিযোগ। কয়েকটি বাড়ি এবং একটি দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। গালাগালি দেওয়া হয়েছে মহিলাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement