রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ফাইল চিত্র ।
ফের রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বার বার তলব করা স্বত্ত্বেও রাজভবনে আসেননি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজিপি। তাঁদের ওই ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ খুললেন ধনখড়। বুধবার একটি ভিডিয়ো টুইট করেন তিনি। সেখানে তাঁর মন্তব্য, "রাজ্যপালকে বয়কট করেছেন মুখ্যসচিব ও ডিজিপি। একাধিক বার তলব করার পরও তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন না।"
গত সপ্তাহে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরও কেন পুলিশ বাধা দিল তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজিপি-কে তলব করেন রাজ্যপাল। ওই ঘটনায় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাঁরা ধনখড়ের ডাকে সাড়া দেননি।
রাজভবনের তরফে বলা হয়, গত তিন দিনে দু'বার রাজ্যের ওই অফিসারদের তলব করা হয়েছিল। তাঁরা কোনও উত্তর দেননি। যার কারণেই রাজ্যপালের এই ক্ষোভ। বুধবার তিনি তো প্রকাশ্যে বললেন, "ওই ধরনের আচরণ পদক্ষেপ যোগ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য সাংবিধানিক ত্রুটি।" তবে এর পিছনে রাজ্যের মদত রয়েছে বলেই মনে করছে রাজভবন।
রাজ্যপালের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "রাজ্যপালের কাজই তো রাজ্যকে উত্যক্ত করা। বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন। আইন অনুযায়ী যা যা করতে হয় রাজ্য তা করছে। সংবিধান অনুযায়ী যেটা করা যায় না, রাজ্যপাল তা করছেন।" আবার এটাকে সাংবিধানিক সঙ্কট হিসাবে দেখছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "তৃণমূল ধারাবাহিক ভাবে রাজ্যপালের বিরোধিতা করে আসছে। তারা যে রাজনীতিতে বিশ্বাস করে তাতে সংবিধান দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তৃণমূলের আচরণ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। এই অবস্থানের মাধ্যমে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করে দিয়েছে তৃণমূল।"
আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধিররঞ্জন চৌধুরী এর মধ্যে নতুন কিছু দেখছেন না। তাঁর মন্তব্য, "রাজ্য ও রাজ্যপালের এই লড়াই হাসির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। আর মানুষ এ সব নিয়ে কোনও কিছু ভাবছে না। আমরা মনে করি রাজ্য ও রাজ্যপালের সম্পর্ক ভাল হওয়া উচিত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সবই ব্যতিক্রম।"