প্রতীকী ছবি।
নিয়ম রয়েছে, কিন্তু তা কি সকল চিকিৎসক মেনে চলেন? এমন ভাবনা থেকেই সরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত যে কোনও স্তরের চিকিৎসকদের বেসরকারি হাসপাতালে যুক্ত থাকার বিষয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ থেকে বরিষ্ঠ চিকিৎসক, সকলকেই বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে যুক্ত থাকতে গেলে ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট নিতে হবে। সেই শংসাপত্র দেবেন ওই চিকিৎসক যে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত, সেখানকার অধ্যক্ষ বা সুপার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি চাকুরে যে সমস্ত চিকিৎসক বাইরে কোথাও যুক্ত নন, তাঁরা ‘নন প্র্যাক্টিসিং’ ভাতা পান। কিন্তু যাঁরা সরকারি চাকরির পাশাপাশি বাইরেও যুক্ত, তাঁরা ওই ভাতা পান না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণ, ভাতা নিয়েও অনেকে বিভিন্ন নার্সিংহোমে যুক্ত আছেন। আবার প্র্যাক্টিসিং চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালের থেকে অনেক বেশি সময় দেন বেসরকারিতে। এই সমস্ত অনিয়মে রাশ টানতেই স্বাস্থ্য দফতরের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
নির্দেশিকা বলছে, চিকিৎসকের নাম, সরকারি স্তরে তাঁর পদ ও তিনি সপ্তাহে কত দিন কত ক্ষণ থাকছেন, সেই তথ্য প্রকাশ্যে টাঙাতে হবে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলিকে। এনওসি ছাড়া কোনও চিকিৎসক সেখানে যুক্ত থাকলে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইনে ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য ভবন।
এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা ডিউটির কথা আগেই বলা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, সবই কাগজ-কলমে থেকে যাচ্ছে। রোগী পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।” ‘প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোমস অ্যান্ড হসপিটালস অ্যাসোসিয়েশন’-এর চেয়ারম্যান শেখ আলহাজউদ্দিন বলেন, “সরকার একটা নিয়ম করছে। বিষয়টি কয়েক দিন দেখতে হবে। তার পরে বোঝা যাবে ভাল-মন্দ। তবে নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট গাইডলাইন চালু করলে ভাল হয়।” আবার বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের পূর্বাঞ্চলীয় সভাপতি রূপক বড়ুয়া বলেন, “সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। তবে বেসরকারি হাসপাতালেও রোগী পরিষেবা ঠিক মতোই দেওয়া হয়। তাই নির্দিষ্ট নিয়ম জানালে দ্রুত এনওসির আবেদন করতে পারবেন অনেকেই। বেশি দেরি যেন না হয়।”