কলকাতা বিমানবন্দরে ফের সোনা পাচার, ধৃত ১

নিত্য দিন বদলে ফেলা হচ্ছে চোরা চালানের পদ্ধতি। কলকাতায় শুল্ক অফিসারদের কড়াকড়ির জন্য তাঁদের চোখে ধুলো দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। কখনও সফল হলেও, কখনও ধরা পড়েছেন চোরা চালানকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৩২
Share:

নিজস্ব চিত্র।

নিত্য দিন বদলে ফেলা হচ্ছে চোরা চালানের পদ্ধতি। কলকাতায় শুল্ক অফিসারদের কড়াকড়ির জন্য তাঁদের চোখে ধুলো দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। কখনও সফল হলেও, কখনও ধরা পড়েছেন চোরা চালানকারীরা। সাধারণত এঁরা সকলেই ছোট ব্যবসায়ী। বহু দিন ধরে কলকাতা-ব্যাঙ্কক-হংকং-সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশের মধ্যে জামাকাপড়-সহ অন্যান্য সামগ্রী আমদানি-রফতানির কাজ করেন। ইদানীং ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় সোনা পাচারের সঙ্গে এই ছোট ব্যবসায়ীরা জড়িয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন শুল্ক অফিসারেরা। এই ব্যবসায়ীদের ‘কেরিয়ার’ও বলা হয়ে থাকে।

Advertisement

কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সোমবার ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় আসা স্পাইস জেটের উড়ানে কৃষ্ণপাল চৌরাশিয়া নামে এক যাত্রীর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় শুল্ক দফতরের অফিসারদের। কৃষ্ণপাল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে আনা জিনিসপত্র পরীক্ষা করা শুরু হয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলাদের অন্তর্বাসের মধ্যে করে সোনা পাচার করছিলেন কৃষ্ণপাল। এই ধরণের বিদেশি অন্তর্বাসের মতো সামগ্রী নিয়মিত আমদানি করেন এই কেরিয়ারেরা। ফলে সন্দেহ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কৃষ্ণপালের সামগ্রী আলাদা করে তল্লাশি শুরু হয়।

শুল্ক অফিসারেরা জানিয়েছেন, মহিলাদের অন্তর্বাসের মধ্যে সেলাই করে সরু সরু তার ঢোকানো ছিল। সেগুলি বার করার পরে আপাতভাবে মনে হয় তারগুলি রুপোর তৈরি। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায় সেগুলি আসলে সোনার তার। তার উপরে রূপোর জল করা রয়েছে। কৃষ্ণপালের কাছে এ রকম ৯৬টি রূপোর জল করা সোনার তার উদ্ধার হয়েছে। শুল্ক দফতর জানিয়েছে, ৯৯৫ গ্রাম ওজনের এই সোনার বাজারদর ৩০ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। নিয়ম অনুযায়ী ২০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সোনা পাওয়ায় কৃষ্ণপালকে গ্রেফতার করা হয়। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, কৃষ্ণপালও বেশ কিছু দিন ধরে আমদানি-রফতানির ব্যবসা করছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement