সরেজমিন: বিস্ফোরণের পরে। সোমবার, চারু মার্কেটে। নিজস্ব চিত্র
গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে ভেঙে পড়ল একটি বাড়ির একাংশ। সোমবার, চারু মার্কেট অঞ্চলে। এর জেরে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। পুলিশ জেনেছে, ওই বাড়িতে বেআইনি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা চলত।
চারু মার্কেটের ইজাতুল্লা লেনের বাসিন্দারা জানান, বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। ভাঙা টালির টুকরো ছিটকে এসে ভেঙে দেয় একটি বাড়ির জানলার কাচ। এলাকা ঢেকে যায় ধোঁয়ায়। ভেঙে পড়েছে বিস্ফোরণের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চিহ্নিত টালির বাড়িটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই বাড়িতে বহু দিন ধরে বেআইনি ভাবে রান্নার গ্যাস ভরা হয়। সেই কাজের সময়ে এ দিন সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একটি সিলিন্ডার পাওয়া যায়।
এলাকায় পৌঁছে দেখা গেল, সরু গলির দু’পাশে গায়ে গায়ে লাগা বাড়ি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পরে সামান্য একটি আগুনের ফুলকিও বড় বিপদ ঘটাতে পারত। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ভরার কাজ করছেন অশোক সাউ ওরফে গ্যাস কাল্লু। প্রশাসন সব জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি তাঁদের। অভিযোগ দায়ের করা হয়নি কেন? সদুত্তর দিতে পারেননি কেউ। শুধু বলেছেন, ‘‘সকলেই সব জানে।’’
পুলিশ জানায় , বাড়ির মালিকের নাম দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি ভাড়া নিয়েই বেআইনি ভাবে গ্যাসের ব্যবসা করতেন গ্যাস কাল্লু। উঠে এসেছে প্রমথেশ বড়ুয়া ওরফে বুবাই বলে এক যুবকের নাম। পুলিশ জানায়, আগে ওই বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ পাননি তাঁরা। এমনকী বিস্ফোরণের পরেও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই বেআইনি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ ইন্ডেন-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থার কর্তৃপক্ষও। তাঁদের বক্তব্য, কোন সংস্থার সিলিন্ডার থেকে বেআইনি গ্যাস ভরতে গিয়ে ওই ঘটনা ঘটেছে, তা না জেনে তাঁরা মন্তব্য করবেন না। একটি সংস্থার এক কর্তার দাবি, বাজারে এখন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও রান্নার গ্যাস বিক্রি করে। তবে তাঁরা জানান, তাঁদের সংস্থার সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেআইনি কাজের খবর এলে অভিযান চালানো হয়।