প্রতীকী ছবি।
বিধাননগর পুরসভার ১৬টি পুর বাজারের দোকান-মালিকদের কাছ থেকে জঞ্জাল ফেলার জন্য কিলোগ্রাম প্রতি দু’টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ মে পুর ভবনে মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল সাফাই) দেবাশিস জানা প্রতিটি বাজারের বাজার কমিটির সম্পাদক এবং সভাপতিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। তখনই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া, প্রতিটি বাজারে সুলভ শৌচালয় তৈরি করবে পুরসভা। টাকা দিয়ে সেই শৌচালয় ব্যবহার করতে পারবেন সকলেই। এর পাশাপাশি, পুরসভা বিভিন্ন ভাবে জানতে পেরেছে, বাজারের মধ্যে দোকানিরা যাতায়াতের পথেই জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন। এর জেরে ক্রেতাদের চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। এ বার থেকে সে রকম হলে পুরসভা নির্দিষ্ট দোকান-মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করবে। পুর আইনেই এই জরিমানার কথা বলা হয়েছে বলে জানান দেবাশিসবাবু।
পুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই সব শোনার পরে বাজারগুলির বেহাল অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বাজার কমিটির সম্পাদক ও সভাপতিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বহু পুর বাজারের অবস্থা বেশ খারাপ। রক্ষণাবেক্ষণের কোনও বালাই নেই। অনেক জায়গায় সিঁড়ি ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন তা মেরামত করা হচ্ছে না। বাজারগুলির মেঝেও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনেক বাজার নিয়মিত পরিষ্কারও করা হয় না বলে তাঁদের অভিযোগ। দোকানঘর কেনার পরে নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে না বলেও নালিশ জানিয়েছেন অনেকে।
মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘দোকান-মালিকদের সমস্যার কথা শুনেছি। আমরা জানিয়ে দিয়েছি, বাজারের জঞ্জাল ফেলার জন্য এ বার থেকে কিলোগ্রাম প্রতি দু’টাকা করে দিতে হবে। বাজার কমিটি এই টাকা দিতে পারে বা দোকানিরাও আলাদা ভাবে দিতে পারবেন।’’
মেয়র পারিষদ আরও জানিয়েছেন, মুদির দোকান বা প্রসাধনী জিনিসের দোকানের জঞ্জাল খুব বেশি হয় না। মাছ, মাংস, আনাজ এবং ফলের দোকান থেকেই বেশি জঞ্জাল জমা হয়। তাই জঞ্জাল মাপার জন্য প্রতিটি বাজারে একটি করে যন্ত্র বসানো হবে। দৈনিক কত কিলোগ্রাম জঞ্জাল জমা হল, তা হিসেব করে টাকা নেওয়া হবে। বাজারগুলি দু’বেলা পরিষ্কার করবেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই নতুন নিয়ম চালু করা হবে। তার আগে প্রতিটি বাজার ঘুরে ঘুরে সমস্ত দোকান-মালিকের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।