প্রতীকী ছবি
সোনারপুরের ডেরা থেকে ধরা পড়া বাংলাদেশের বাসিন্দা, দাগি অপরাধী আশরাফ সর্দারকে জেরা করে আন্তঃরাজ্য ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড তৈরির চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সোমবার রাতে সোনারপুরের কারবালা এলাকার একটি বাড়ি থেকে ধরা হয় বাংলাদেশের জেল থেকে পালিয়ে আসা দুষ্কৃতী আশরাফ সর্দার ওরফে জিয়া গাজিকে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় একটি ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল আশরাফ। তদন্তকারীদের দাবি, জেল থেকে পালিয়ে চোরাপথে সীমানা পেরিয়ে এ রাজ্যে ঢুকে গা-ঢাকা দিয়েছিল সে।
তদন্তকারীরা জানান, বছর তিনেক আগে এ রাজ্যে ঢুকেছিল আশরাফ। পরে নিজের নামে ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি করেছিল। জেলায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, কুমারেশ মহাজন নামে এক ব্যক্তি তার ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি করে দিয়েছিল। কুমারেশ আবার ওই কার্ডগুলি তৈরি করিয়েছিল সোনারপুর থানার চম্পাহাটির বাসিন্দা মুজিবর লস্কর নামে এক জনকে দিয়ে। মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবন উপকূল থানা এলাকা থেকে প্রথমে কুমারেশকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতেই ধরা হয় মুজিবরকে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোনারপুর থানা এলাকার প্রসাদপুরে মুজিবরের একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে। তাঁদের দাবি, সাইবার ক্যাফের আড়ালে মুজিবর ও কুমারেশ ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি করত। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভুয়ো কার্ড তৈরির অভিযোগে বছর দুয়েক আগে অসমে গ্রেফতার হয় কুমারেশ। পরে জামিন পেয়ে সোনারপুরে পালিয়ে আসে। তার পরেই মুজিবরকে নিয়ে এই এলাকায় ভুয়ো কার্ড তৈরির চক্র গড়ে তোলে। তদন্তকারীদের দাবি, ভুয়ো নথি তৈরি করে, ভিন্ রাজ্যের এমন একাধিক চক্রের সঙ্গে কুমারেশের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁদের ধারণা, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা দাগি অপরাধীদের ভুয়ো নথি তৈরি করে দিয়ে তাদের বিভিন্ন রাজ্যে থাকার ব্যবস্থা করত কুমারেশই।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রসাদপুরের সাইবার ক্যাফে থেকে দু’টি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার এবং একটি বায়োমেট্রিক যন্ত্র-সহ একাধিক আধার ও ভোটার কার্ড বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ওই কার্ডগুলি যাচাই করা হচ্ছে। মুজিবর ও কুমারেশকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের কথায়, এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত। ধৃতদের জেরা করে তাদের ধরার চেষ্টা করা হবে।