চার মিছিলে থমকে গেল অফিসপাড়া

বুধবার দুপুরেও প্রায় ঘণ্টা তিনেকের জন্য ব্যহত হল স্বাভাবিক যান চলাচল। তবে এ দিনের যান চলাচল ব্যহত হওয়ার কারণ শুধুই রাজনৈতিক মিছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০২:৪২
Share:

ফাইল চিত্র।

পরপর দু’দিন। যানজটে নাকাল হল শহর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জমা জল ও মিছিলের জোড়া ফলায় পর্যুদস্ত হয়েছিল শহরের যান চলাচল। ফলে নাকাল হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। বুধবার দুপুরেও প্রায় ঘণ্টা তিনেকের জন্য ব্যহত হল স্বাভাবিক যান চলাচল। তবে এ দিনের যান চলাচল ব্যহত হওয়ার কারণ শুধুই রাজনৈতিক মিছিল।

Advertisement

দুপুর থেকে শহরের রাস্তায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দফায় দফায় মিছিল করে। সব মিছিলেরই গন্তব্য ছিল ধর্মতলা চত্বর। লালবাজার সূত্রের খবর, বিকল্প রাস্তায় গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়ায় এ দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি।

পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে কংগ্রেস, বিজেপি এবং ১৯টি বামদল বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে মিছিল এবং সমাবেশ করে। জিএসটি-র বিরোধিতা করে ব্যবসায়ীদের একটি মিছিল মহাত্মা গাঁধী রোড-সহ বড়বাজারের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরে।

Advertisement

বুধবার দুপুর একটার পরে হাওড়া, শিয়ালদহ, বড়বাজার-সহ কয়েকটি এলাকা থেকে কয়েক হাজার কংগ্রেস সমর্থক মিছিল করে শহিদ মিনারের সমাবেশে যোগ দেন। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই দলীয় দফতর মুরলীধর লেন থেকে ধর্মতলায় পৌঁছয় বিজেপির একটি মিছিল। দুই রাজনৈতিক দলের মিছিল ধর্মতলায় পৌঁছনোর মিনিট তিরিশের মধ্যেই ডোরিনা ক্রসিং-এ চলে আসে ১৯টি বামদলের মহামিছিল। শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার দাবি নিয়ে ওই মিছিলের ডোরিনা ক্রসিং পেরোতেই লেগে যায় প্রায় আধ ঘণ্টা। তখন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, তিন দলের মিছিলের জেরে উত্তর ও মধ্য-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যানজট হয়। বামেদের মহামিছিলকে কেন্দ্র করে সমস্যা বেশি হয়। এর জেরে কলেজ স্ট্রিট, মহাত্মা গাঁধী রোড, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট, সূর্য সেন স্ট্রিট, লেনিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোড, মৌলালি, জওহরলাল নেহরু রোডে গাড়ির গতি থেমে যায়। শ্যামবাজারের দিক থেকে আসা গাড়ি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কিছু ক্ষণ। সাড়ে তিনটে নাগাদ বামেদের মিছিল ধর্মতলায় শেষ হয়।

ডোরিনা ক্রসিং ও রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ বন্ধ থাকায় শিয়ালদহ ও মৌলালি থেকে আসা বাস দীর্ঘ ক্ষণ এস এন ব্যানার্জি রোডে আটকে থাকে। একই অবস্থা লেনিন সরণির। উত্তরমুখী বাসগুলি পার্ক স্ট্রিট থেকে মেয়ো রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ওই রাস্তায় চাপ বেশি থাকায় মেয়ো রোডে গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে যায়।
অন্য দিকে, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের দক্ষিণমুখী রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় শ্যামবাজারের দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে কখনও বিধান সরণি কখনও আবার আর্চায প্রফুল্লচন্দ্র রায় রোডের দিক দিয়ে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, মহাত্মা গাধীঁ রোডে জিএসটি-র বিরোধিতা করে ব্যবসায়ীদের করা মিছিলের জন্য গাড়িগুলি বিকল্প রাস্তা দিয়ে পাঠানো হয়। ওই চারটি মিছিলের পরে ফের স্বাভাবিক হয়ে যায় শহরের যান চলাচল ব্যবস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement