কালীপুজোর রাতে ফানুস ওড়ানোর চল নতুন ভাবে ফিরে এসেছে বেশ কিছু অঞ্চলে। তবে সেই ফানুস থেকে ইতিমধ্যেই ঘটেছে বিপত্তিও। কখনও জ্বলন্ত ফানুস উড়ে এসে পড়েছে পুজো মণ্ডপ কিংবা ঘর-বাড়িতে, তো কখনও সেই ফানুস এতটাই উপরে উঠে গিয়েছে যে তা বিমান ওঠা-নামার সময়ে ভয়ের কারণ হয়ে গিয়েছে। বিপদ নিয়ন্ত্রণে কয়েক বছর আগেই বিমানবন্দর ও সংলগ্ন এলাকায় ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পুলিশ প্রশাসন। তবু নজরদারির ফাঁক গলে ফানুস কেনা-বেচা চলছিলই। সোমবার, বারাসতের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে ৩০০টিরও বেশি ফানুস বাজেয়াপ্ত করল উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ ও প্রশাসন। আটক করা হয়েছে চার দোকানিকেও।
উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা এবং বারাসতের মতো জায়গায় যেখানে বড়-বড় কালীপুজো হয়, সেখানে ফানুস ওড়ানো এবং বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।’’ সেই নিষেধ না মানায় এ দিন ফানুস বাজেয়াপ্ত করে বিক্রেতাদের আটক করা হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে এই অভিযান চলবে বলেও এ দিন জানিয়েছেন তিনি।
আগে ছিল কাপড়ের ফানুস, বছর তিনেক হল, চিন দেশে তৈরি ফিনফিনে কাগজে রং-বেরঙের ছোট-বড় ফানুস বিকোচ্ছে বাজারে। অল্প দামে পাওয়া যাচ্ছে একসঙ্গে ৩ থেকে ৫টি ফানুস। পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে ওড়ানো হয় ফানুস। তার পরে সেই ফানুস উড়ে গিয়ে মণ্ডপে আগুন ধরিয়েছে। উড়ে এসে গায়ে পড়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন দর্শনার্থীরা। ফানুস ওড়ার কারণে বিমান ওঠা-নামার সময়ে সমস্যা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বারাসতের এসডিপিও তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই সব কারণেই এই এলাকার থানাগুলিকে ফানুসের ব্যপারে সতর্ক করা হয়েছে। আমরাও প্রশাসনের তরফে নিয়মিত নজরদারি চালাব।’’