প্রতীকী ছবি।
প্রতিহিংসার জেরে নয়। লুট করতেই পুরনো অফিসে ঢুকে মালিককে লক্ষ্য করে গুলি করতে গিয়েছিল কিষাণ রাম ওরফে রবি নামে ওই প্রাক্তন কর্মী। সঙ্গে সে নিয়ে গিয়েছিল আরও তিন জনকে। হামলাকারী চার জনই আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এমনটাই জানতে পেরেছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আগে ওই অফিসে কাজ করার সূত্রে কিষাণ জানত যে, সেখানে সব সময়ে অনেক টাকা থাকে। শনিবার ভয় দেখিয়ে সেই টাকা লুট করতেই এসেছিল সে। যদিও স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়ে যায় কিষাণ। কিন্তু বাকি তিন জন পালিয়ে যায়। ধৃতকে জেরা করে খোঁজ মেলে অক্ষয় শর্মা ওরফে সুরেশের। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বড়বাজারের ১৬৫, বিধান সরণির পাঁচতলার একটি অফিসে হানা দেয় পুরনো কর্মচারী কিষাণ। ঢুকেই তারা মালিক রাম অবতার পারেখের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা চায়। এরই মধ্যে গুলি চালালে রামের বুকে গুলি লাগে। শব্দ শুনে আশপাশের অফিস থেকে চিৎকার শুরু হতেই পালানোর চেষ্টা করে হামলাকারীরা। কিন্তু ধরা পড়ে যায় এক জন।
তদন্তে জানা গিয়েছে, রাম অর্থলগ্নি সংস্থার কমিশন ভিত্তিক এজেন্ট বলে পরিচিত। তবে পুলিশের অনুমান, হাওলার টাকা লেনদেনও চলে সেখানে। তাই অফিসে অনেক টাকা থাকে। সেই খবর জানত বলেই লুট করতে দলবল নিয়ে এসেছিল কিষাণ।
এ দিকে, বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে রামের গুলি বার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একটু সুস্থ হলেই পুলিশ তাঁর কাছ থেকে ব্যবসার সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা করবে।