পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর মিলিয়ে মোট গ্রেফতার ৫২১ জন। প্রতীকী ছবি।
পুলিশি ব্যবস্থা, নাকা-তল্লাশি, টহলদারিতেও ঠেকানো গেল না বড়দিনের রাতে উৎসবের নামে আইন ভাঙার প্রবণতা। উল্টে গ্রেফতারির সংখ্যার নিরিখে গত বছরকে কয়েক ‘গোল’ দিল চলতি বছর। কোথাও মত্ত অবস্থায় রাতভর চলল ‘তাণ্ডব’, কোথাও পথে বেরিয়ে বিধি ভাঙা। পুলিশ অবশ্য সোমবার গ্রেফতারির তথ্য দিয়ে ‘ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’ বলেই দাবি করেছে ।
এ দিন লালবাজার জানিয়েছে, রবিবার, ২৫ তারিখ আইনভঙ্গের দায়ে ২০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩৯ লিটার মদ। শনিবার গ্রেফতারির সংখ্যা ছিল ৩১৪। প্রায় ৯০ লিটার মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। দু’দিনে মোট গ্রেফতার ৫২১ জন। গত বছর শহরে এই দুই দিনে গ্রেফতারির সংখ্যা ছিল ১১৩।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’দিনে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ১৮৭ জন মত্ত চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বড়দিনের সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সংখ্যাটা ১০৯। এ ছাড়া, পথের বিধি ভঙ্গে রবিবার রাতে ৩৬৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সাউন্ড বক্সের তাণ্ডব থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত মত্ত অবস্থায় গন্ডগোলের একাধিক অভিযোগ এসেছে। পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকা থেকে একাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কসবা এলাকার একটি ক্লাবে পিকনিকের নামে কার্যত মধ্যরাত পর্যন্ত সাউন্ড বক্সের দাপট চলে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। যদিও লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়। দু’-একটি বিক্ষিপ্ত অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু সামগ্রিক ভাবে শহরে পুলিশ সক্রিয় ছিল।’’
বড় কিছু না ঘটলেও রবিবার বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনায় বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ এসেছে ১৬টি। পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হন তিন জন। ধৃতদের নাম সুজয় ঘোষ, সত্যজিৎ সাহা ও রানা বিশ্বাস। বারাসত পুলিশ জেলা এলাকা থেকে রবিবার ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।