মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।
পুকুর ভরাটের ক্ষেত্রে এ বার খোদ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠল পুরসভার প্রশাসনিক বৈঠকে। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরোয় ওই বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুর কমিশনার-সহ একাধিক পদস্থ আধিকারিক এবং ওই বরোর ন’জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন সেখানে। একাধিক কাউন্সিলর মেয়রের সামনে অভিযোগ করেন, পুকুর ভরাটের ক্ষেত্রে পুলিশ সজাগ নয়। এমনকি, পুলিশের চোখের সামনেই পুকুর ভরাটের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। সব শুনে পুর কমিশনারকে মেয়র নির্দেশ দেন, ‘‘পুকুর ভরাটের ঘটনায় অবিলম্বে এফআইআর করুন।’’
পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশি ও জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা জানতে এবং জরুরি ভিত্তিতে সমস্যা মেটাতে বরো-ভিত্তিক প্রশাসনিক বৈঠক চালু করেছেন মেয়র। একাধিক বৈঠকে পুর পরিষেবা নিয়ে অভিযোগের পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণ ও পুকুর ভরাটের মতো বিষয় নিয়েও নানা অভিযোগ উঠেছে। এ দিনের বৈঠকেও কাউন্সিলর তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন অভিযোগ করেন, সিঁথি থানার সামনে বি টি রোডে একটি পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পুলিশের সামনে তা ঘটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
অভিযোগ শুনে এফআইআর করার নির্দেশ দেন মেয়র। শাসক দলের কাউন্সিলর গৌতম হালদারও পুকুর ভরাট নিয়ে পুলিশের নেতিবাচক ভূমিকার উল্লেখ করেন। পুকুর ভরাট রুখতে পুকুরগুলির সংস্কারে জোর দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপি ঘোষ বৈঠকে জানান, তাঁর এলাকায় দু’টি বাড়ি খুব বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা আক্ষেপ করে জানান, একটি স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করা হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু এখনও কাজ শুরু হয়নি। মেয়র জানান, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।