—ফাইল চিত্র।
গত বছর দাদা মারা গিয়েছেন ডেঙ্গিতে। তাই পরিবার নিয়ে ডেঙ্গির আতঙ্কে রয়েছেন ভাই অমিয়শঙ্কর চক্রবর্তী। কারণ এখনও বাড়ির পিছনের ভ্যাটে জমা জঞ্জাল মশার আঁতুড়ঘর হয়ে রয়েছে। বুধবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে মেয়রের কাছে সরাসরি ওই অভিযোগ জানালেন হরিশ
মুখার্জি রোডের ওই বাসিন্দা। আরও বললেন, ‘‘স্থানীয় কাউন্সিলরকেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম। উনি মোবাইলে ছবিও তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ কোনও কাজ হয়নি।’’ তা শুনে অস্বস্তিতে পড়েন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফোনেই তাঁকে বলেন, ‘‘এটা আমাদের নজরে আসা উচিত ছিল। আমি খুবই দুঃখিত।’’ পরে মেয়র জানান, আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই পুরসভার জঞ্জাল দফতরের কর্মীরা গিয়ে তা পরিষ্কার করে দেবেন। তিনি নিজেও দেখতে যাবেন।
ওই ফোন শেষ হতেই এ বার সরশুনার হো চি মিন সরণির এক বাসিন্দার অভিযোগ, পুরসভার অনুমোদন না নিয়েই চারতলা বিল্ডিং হয়ে গিয়েছে তাঁদের এলাকায়। তিনি সেই ঠিকানাও জানান মেয়রকে। আবার বিল্ডিং যিনি তৈরি করছেন, তিনি নাকি মালিকও নন। অভিযোগ শুনে মেয়র তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘আপনার কাছে জানলাম। কালই ওখানে লোক যাবে।’’ এর পরেই বিল্ডিং দফতরকে মেয়রের প্রশ্ন, ‘‘এ সব হচ্ছে কেন?’’ পাশাপাশি তাঁর নির্দেশ, ‘‘কড়া ব্যবস্থা নিন।’’ এরই মধ্যে ওই অনুষ্ঠানে এক মহিলার ফোন আসে। ‘‘মেয়র সাহেব, আমাদের বাঁচান। সাঁইথিয়ায় জন্মেছে শিশু। খুব খারাপ অবস্থা। ওরা ছেড়ে দিয়েছে। কাল থেকে সিউড়ি, দুর্গাপুর, এন আর এস ঘুরে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। এখন শিশুটি ভেন্টিলেশনে আছে।’’ তা শুনে মেয়র তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘চিন্তা করবেন না। ওই হাসপাতলে থাকুন। যা খরচ হবে, আমরা দিয়ে দেব। শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠুক।’’