পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
শহরতলি এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। যার অন্যতম কারণ, ওই সব এলাকায় পাকা বাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি। আগে সেখানে কাঁচা বাড়ি থাকায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ কম হত। কিন্তু পাকা বাড়ি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জল জমার প্রবণতা বেড়েছে। সেই জমা জলে জন্মাচ্ছে ডেঙ্গি মশার লার্ভা। বৃহস্পতিবার বিধাননগরের শুভান্নয় এক বৈঠকে এ কথা বলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতার কাজে জোর দিলে তা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। গত বছর রাজ্যের যে সব পুর এলাকায় ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে সরকার চিন্তিত ছিল, এ বার সেই ২৫টি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলেন মন্ত্রী।
বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বিধাননগর, ব্যারাকপুর, হাবড়া এবং অশোকনগরের পুর প্রতিনিধিদেরও। কারণ, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আশঙ্কা করছে, এ বার ওই চারটি পুর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই ওই চার পুর প্রশাসনকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে। ফিরহাদ জানান, চলতি বছরে কলকাতা বাদে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯০। শহরতলির পুর এলাকাগুলি অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠায় জল জমার ঘটনা বাড়ছে বলে জানান তিনি। এ দিনের বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, ‘‘এলাকার কোথাও মশার বংশ বৃদ্ধির প্রমাণ মিললে প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করুন। কলকাতা পুর এলাকায় এখন ড্রোন দিয়ে মশা ধ্বংস করার কাজ শুরু হয়েছে।’’