পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে এসেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
সকাল ৯টা ৫৩ নাগাদ প্রথম আগুন দেখা গিয়েছিল ৪৫ নম্বর গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের বহুতল ভবনটিতে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১১টি ইঞ্জিন। তার পর দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পর সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণে এল। আগুন নেভাতে গিয়ে জখম হয়েছেন এক দমকলকর্মী। ভবন সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল।আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লড়াই চালিয়ে যান দমকলের কর্মীরাও।
দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, সরু প্রবেশপথের কারণে আগুন নেভানোর কাজে বিলম্ব হয়েছে। ধোঁয়া এবং প্রচণ্ড তাপের কারণে অকুস্থলে পৌঁছতে দেরি হয় দমকল আধিকারিকদের। তবে লম্বা পাইপের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ চালানো হচ্ছে। ভবনটির পাশেই রয়েছে কালিদাস মল্লিক সেবায়তন নামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হলেও দমকল জানিয়েছে, নতুন করে আর আগুন ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দমকল আধিকারিকেরা।
বহুতল ভবনটির পাঁচ তলায় জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি,পরিবহণ-সহ একাধিক সরকারি দফতরের অফিস রয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের অফিসটিই। তবে অফিসটাইমের আগেই এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটায় কেউ হতাহত হননি। অনেকেই অফিসে এসে দেখেন, আগুন জ্বলছে পাঁচ তলায়। সরকারি কর্মীদের কেউ কেউ হাজিরা খাতা নামিয়ে আনার চেষ্টা করেও তা পারেননি। তাঁরা আগুন নেভার অপেক্ষা করছেন। তবে বহু সরকারি নথি, দলিল ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, “পুরনো ভবন বলে এখানকার প্রবেশপথ খুবই সঙ্কীর্ণ। তাই প্রথমে দমকলের কাজ করতে অসুবিধা হয়েছে। ১১টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে।” কী কারণে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন দমকল কর্তৃপক্ষ।