Kolkata Fire

ধাপার মাঠে রাসায়নিক কারখানায় আগুন, ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা, কাজ করছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই আগুন লাগে। কয়েক মিনিটের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১২:২১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দমকলের ২০টি ইঞ্জিন এবং ৮০০ লিটারের বেশি ফোম ব্যবহার করেও নেভানো যাচ্ছে না ধাপার রাসায়নিক কারখানার আগুন।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে ধাপার মাঠপুকুর এলাকায় একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগে সাড়ে ১১টা নাগাদ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা দ্রুত গোটা কারখানাটিকে গ্রাস করে। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। খবর পেয়ে প্রথমেই সেখানে পৌঁছেছিল দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের আরও ১৪টি ইঞ্জিন। তবে তার পরেও সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগুন নেভানো যায়নি। দমকলবাহিনী সূত্রে খবর, রাসায়নিক কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্যপদার্থ এবং রাসায়নিক মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। ফের আগুন লাগার সম্ভাবনা তৈরি যাতে না হয় সে জন্য ঘটনাস্থলে দমকলকে রেখে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার আগুন লাগার খবর পেয়ে ধাপার মাঠপুকুরের ওই এলাকায় পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সেখানে গিয়ে দমকলকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

Advertisement

যে রাসায়নিক কারখানায় আগুন লেগেছে, তার চারপাশে প্রচুর ঘরবাড়ি। ঘিঞ্জি এলাকা। দমকলের আশঙ্কা ছিল, ওই সমস্ত বাড়িগুলিতেও যে কোনও মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে আগুন। কারণ, রাসায়নিক কারখানার ভিতর থেকে মুহুর্মুহু ভেসে আসছিল বিস্ফোরণের শব্দ। ছিটকে বেরোচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা। তাতে আশপাশে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। তা ছাড়া গোটা এলাকাটিই ঢেকে গিয়েছিল কালো ধোঁয়ায়। সেই ধোঁয়ায় যাতে মানুষ অসুস্থ হয়ে না পড়েন এবং কারখানার বিস্ফোরণে ছিটকে আসা আগুনে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য আশপাশের বহু বাড়ি খালি করে দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ এলাকায়।

তবে ওই ধোঁয়ায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে দমকলবাহিনীরও। ধোঁয়ায় ঢেকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে এলাকার দৃশ্যমানতা কার্যত শূন্যে এসে ঠেকে একটা সময়ে। তাতে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতেই অনেকটা সময় লেগে যায় দমকলবাহিনীর।

দমকল সূত্রে খবর, ওই রাসায়নিক কারখানাটিতে মবিল তেল ছাড়াও আরও নানা রকম রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন হত। সেই সব পণ্যের কাঁচামাল রাখা হত আশপাশের বহু বাড়িতে। অধিকাংশই দাহ্যপদার্থ। এ ছাড়াও গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রাখা হত ওই এলাকায়। দমকলকর্মীরা আগে সেগুলি দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করেন। তবে ঝুঁকি কমানো গেলেও সন্ধ্যা৬টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement